সুনামগঞ্জে কমছে পানি, আতঙ্কে থাকা শহরবাসী স্বস্তিতে
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ জুন ২০১৯, ৯:১৩ অপরাহ্ণ
সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা:
সুনামগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে পানি কমতে শুরু করেছে। তবে জেলার নিম্নাঞ্চলে উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কিছুটা পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সুনামগঞ্জের শেষ প্রান্তের উপজেলা শাল্লায় কিছুটা পানি বেড়েছে ও দোয়ারাবাজারে স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে।
এ ছাড়া জেলার আর কোথাও পানি বৃদ্ধির খবর পাওয়া যায়নি। শহরতলীর বিভিন্ন স্থানে শুক্রবার (২৮ জুন) বেশ পানি থাকলেও আর বৃষ্টিপাত না হওয়ায় পানি নেমে গেছে। শহরের কোনো রাস্তায়ই এখন আর পানি নেই।
শনিবার (২৯ জুন) বিকেল পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে দেখা গেছে। শুক্রবার ছিল ৮২ সেন্টিমিটার।
শাল্লা উপজেলার আটগাঁও ইউনিয়নের নিজাগাঁও, রাওতলা বাজার কান্দি এবং বাহারা ইউনিয়নের হরিনগর, শিবপুর গ্রামে কিছুটা পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে শাল্লা উপজেলায় বন্যা হয়ে যেতে পারে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
দোয়ারাবাজার উপজেলায় সুরমা ইউনিয়নের মাইজখলা গ্রামে ও সদর ইউনিয়নের নিচু এলাকায় পানি রয়েছে। এ এলাকাগুলোতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে জরুরি প্রয়োজনে পানিবন্দি মানুষের যে কোনো ধরনের
সহায়তা করার জন্য।
সুনামগঞ্জ শহরের আপিন নগর, ষোলঘর, ওয়েজখালী, তেঘরিয়া, বড়পাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার সড়কের পানি নেমে গেছে। এ কারণে বন্যার আতঙ্কে থাকা শহরবাসী কিছুটা স্বস্তির মধ্যে রয়েছেন।
সুনামগঞ্জ শহরের বড়পাড়া এলাকার বাসিন্দা করিম মিয়া বলেন, সড়কের পানি কমে যাওয়ায় মনে অনেক স্বস্তি পাচ্ছি। আমার কাছে মনে হয়েছিল, যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে, বন্যা হয়ে যাবে। পানি নেমে যাওয়া এখন আর সেই আশঙ্কা নেই।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিক ভূইয়া বলেন, এ এলাকায় পানি বৃদ্ধি পাবে আবার কমবে এটা স্বাভাবিক। পানি না বাড়লে হাওরের মাছ উৎপাদন হবে না। আজকে পানি কমে যাওয়ায় বন্যার আশঙ্কা অনেকটা কমে গেছে। সকাল থেকে বৃষ্টিপাত হয়নি বললেই চলে।
শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল-মুক্তাদির হোসেন বলেন, আবহাওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী শাল্লায় বন্যার আশঙ্কা নেই। যদি প্রকৃতিক কারণে উজানের পানির ঢল বেড়ে বন্যার সৃষ্টি হয় সে জন্য আমাদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে। দু-একদিন আগে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির মিটিংও হয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সাইক্লোন শেল্টারও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।