সিলেটে নারীদের জন্য চালু হচ্ছে ‘নগর এক্সপ্রেস’, চালকের আসনেও নারী
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ জুন ২০১৯, ৮:২২ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ :
সিলেট নগরবাসীর পরিবহন সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে চালু করা হচ্ছে ‘নগর এক্সপ্রেস’ নামে নতুন বাস সার্ভিস। এই সার্ভিসে নগরের নারীদের জন্য নগরভবন কর্তৃপক্ষ রাখবে পৃথক বাস। বাসগুলোতে চালকের আসনেও থাকবেন নারী। এমন তথ্যই জানালেন সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর সিলেট জোন, বিআরটিএ সিলেট ও বিআরটিসি সিলেট ডিপো এর কার্যক্রম সম্পর্কে গণশুনানীতে তিনি এ তথ্য জানান। শনিবার নগরীর রায়নগরে এ গণশুনানী অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম।
রায়নগরস্থ সওজ সিলেট সড়ক জোন চত্বরে এ গণশুনানিতে সিলেট বিভাগের সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। গণশুনানিকালে নিজের দেয়া বক্তব্যে সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সিলেট নগরে মহিলাদের জন্য পৃথক বাস সার্ভিস চালু করা হবে বলে জানান। গণশুনানিতে সিলেট সিটি কর্পোরেশন, সিলেট জেলা পরিষদসহ বিভিন্ন উপজেলার জনপ্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নিজের বক্তব্যে নগরবাসীর পক্ষে দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন সিলেট সিটি মেয়র আরিফ। তিনি তার বক্তব্যে নগরবাসীর পরিবহন সমস্যা সমাধানের জন্য নগর এক্সপ্রেস নামক একটি বাসসার্ভিস চালু করার পরিকল্পনার কথা জানান। নগরের পরিবহন সমস্যা সমাধানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এম এ মোমেন এমপি সহযোগিতা করছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
মেয়র আরিফ তার বক্তব্যে জানান, নগর এক্সপ্রেস বাস সার্ভিসে মহিলাদের জন্য থাকবে পৃথক একাধিক বাস। যাদের চালকও থাকবেন নারী। এসময় এ বিষয়টি উপস্থিত জনসাধারণ স্বাগত জানান।
মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সড়ক ও জনপথ সিলেট জোনের সাথে সিলেট নগর ভবনের সম্পর্ক সহযোগিতাপূর্ণ। কিন্তু তারপরও কিছুকিছু ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি হয়। সিলেট নগরীতে মূল সমস্যা হলো নগরের রাস্তাগুলোর অর্ধেকের বেশি সওজের আর বাকিটা সিটি কর্পোরেশনের। এখন নগরের ভিতরের সওজের রাস্তাগুলো ভাঙা থাকলে সেটির দোষও পড়ে নগরভবনের ঘাড়ে। এ বিষয়টির একটি স্থায়ী সমাধান করা দরকার।
তিনি বলেন, ‘সওজ চাইলে নগরের অভ্যন্তরের সবক’টি রাস্তা সিটি কর্পোরেশনকে সমজিয়ে দিতে পারে। কিংবা আমাদের রাস্তাগুলোও তারা নিয়ে নিতে পারে। যেকোন একটি করলে ভাল হবে। এতে অন্তত আমার ঘাড় থেকে দায় কমবে।’