সিলেটে ঈদের দিনে হবে মুষলধারে বৃষ্টি, ঈদ আনন্দে ভাটা!
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ জুন ২০১৯, ৭:২৮ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
ঈদ মানেই আনন্দ। তবে এবারের ঈদ আনন্দে বৃষ্টিতে ভাসবে সিলেট। শুধু বৃষ্টিই না, থাকবে একেবারে মুষলধারে বৃষ্টি। এমনই পূর্বাভাস দিয়েছে সিলেট আবহাওয়া অফিস।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৫ বা ৬ জুন পবিত্র ঈদুল ফিতর। ২৯ রোজা হলে ৫ জুন, আর ৩০ রমজান পূর্ণ হলে ৬ জুন উদযাপন হবে ঈদ উৎসব।
এদিকে ভ্যাপসা গরমের পর বৃষ্টি দিয়ে শুরু হয়েছে জুন মাস। এই বৃষ্টি মোটামুটি সপ্তাহখানেক চলতে পারে। ফলে ঈদুল ফিতরের দিনও সিলেটে থাকছে বৃষ্টির বাগড়া। শুধু সিলেটই নয়, রংপুর, রাজশাহী ও চট্টগ্রামে বিভাগে কম হলেও সারাদেশেই থাকছে বৃষ্টির সম্ভাবনা। এমন সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন সিলেটের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়া আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী।
আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী বলেন, এখন পর্যন্ত যে অবস্থা, তাতে বুধবার অথবা বৃহস্পতিবার ঈদ হলে দুদিনই বৃষ্টি হবে। তবে বুধবার সকালে বৃষ্টি হবে তুলনামূলক বেশি। যদিও অবস্থার পরিবর্তনও হয়।
তিনি বলেন- ঈদের দিন (৫ জুন ঈদ ধরে) সিলেটসহ সারা দেশেই বৃষ্টি হতে পারে। বুধবার সকালের দিকে সিলেটে প্রচুর বৃষ্টি হলেও দুপুরের দিকে একটু কম হবে। তবে তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকবে। অপর দিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সিলেট প্রচুর বৃষ্টি হবে তবে দুপুরের দিকে আগের দিনের থেকে বৃষ্টি হবে কিছুটা কম।
তবে সিলেটে যে চলমান বৃষ্টি তা আগামী ১১ /১২ তারিখ এর আগে কমবে না বলে জানান সাঈদ আহমদ।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম, রংপুর, খুলনা ছাড়া সিলেট, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগে বেশি বৃষ্টির আভাস আছে। আগামী দু’একদিনের ভেতর বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়বে। তবে রংপুর, রাজশাহী বিভাগে বৃষ্টি কম হতে পারে বলে জানিয়েছেন এ আবহাওয়াবিদ।
এদিকে আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, জুনের প্রথমার্ধের মধ্যে সারাদেশে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু (বর্ষা) বিস্তার লাভ করতে পারে। গত কয়েকদিনের ভ্যাপসা গরমের পর গত শুক্রবার দিবাগত রাতে এবং শনি, রবিবার ও সোমবার সকালে সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, সিলেটের উজানে ভারতের মেঘালয়ের বিস্তীর্ণ পাহাড়ি এলাকার বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ফলে দেশের বিভিন্ন নদীতে পানি বাড়বে। এতে করে পাহাড়ি ঢলে সুরমা ও কুশিয়ারার পানি বাড়তে পারে।
এবারের ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় শাহী ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হবে। আবহাওয়ার প্রতিকূল অবস্থা বা অন্যকোনো অনিবার্য কারণে এ সময়ে জামাত অনুষ্ঠান সম্ভব না হলে নগরীর বিভিন্ন মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।