ঈদ বোনাসের দাবিতে হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন শাহপরান থানা কমিটির মিছিল
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ মে ২০১৯, ১০:১২ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং চট্ট ১৯৩৩ এর অন্তর্ভুক্ত শাহপরান থানা কমিটির উদ্যোগে ঈদ বোনাস এর দাবিতে গত ২৮ মে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সিলেট শহর পূর্বা ল এর কার্যালয় থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি জাফলং-তামাবিল রোড প্রদক্ষিণ করে ইসলামপুর মেজরটিলা বাজারে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মিছিল পরবর্তী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন এর অন্তর্ভুক্ত শাহপরান থানা কমিটির সভাপতি মোঃ দুলাল মিয়া, সমাবেশ পরিচালনা করেন সহ-সভাপতি মোঃ জয়নাল মিয়া।
মিছিল পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা শাখা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ সুরুজ আলী, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুগ্ম সম্পাদক রমজান আলী পটু, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সিলেট শহর পূর্বা ল কমিটির সভাপতি মোঃ খোকন আহমদ, জাতীয় ছাত্রদল সিলেট শহর পূর্বা ল কমিটির আহবায়ক মোঃ আব্দুস সালাম, স’মিল শ্রমিক সংঘের সিলেট বিভাগীয় কমিটির সাধারণত সম্পাদক রুহুল আমীন , সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ সাদেক মিয়া, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনসার আলী, কোষাধ্যক্ষ মহিদুল ইসলাম, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি মোঃ শাহীন মিয়া ও মোঃ বিল্লাল মিয়া, জালালাবাদ থানা কমিটির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম সুমন, সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবি, আম্বরখানা আ লিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আইনুল হক, বন্দর বাজার আ লিক কমিটির সাধারণত সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, চন্ডিপুল আ লিক কমিটির সভাপতি জহুরুল ইসলাম, বাবনা আ লিক কমিটির সহ-সভাপতি মোঃ শাহজাহান মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুমিন, বটেশ্বর, পীরের বাজার, পরগণা, দাশপাড়া আ লিক কমিটির সভাপতি মোঃ বেলাল, টিলাগড় শিবগঞ্জ আ লিক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক মোঃ আনিস মিয়া প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তাগণ বলেন, আসছে ঈদুল ফিতর এর উৎসব আনন্দকে উপভোগ করার জন্য বকেয়া মজুরি, বেতনের সম পরিমান ঈদ বোনাস প্রদান, উৎসব ছুটি দিয়ে সকল শ্রমিকদেরকে ২৫ রমজানের ভিতরে তাদের পাওনা পরিশোধ করার জন্য মালিকদের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান। বক্তারা আরও বলেন দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির বাজারে তিন/চার হাজার টাকা মাসিক মজুরিতে কাজ করে, তা দিয়ে তাদের মাসের ১০ দিন ও চলে না। কথায় কথায় ছাঁটাই নির্যাতন অব্যাহত আছে। শ্রম আইনে কিছু কিছু অধিকার প্রাপ্য হলেও শ্রমিকরা কখনো তা প্রাপ্ত হয় না। তার উপর ঈদ বা কোন উৎসব আসলেই শুরু হয় মজুরি পরিশোধ না করে, বোনাস না দিয়ে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার হিড়িক। ঈদের ছুটি শেষে অনেকেরই চাকরি থাকে না। আজকের মিছিল পরবর্তী সমাবেশ থেকে আমরা জুর দাবি জানাচ্ছি যে, আগামী ২৫ রমজানের পূর্বেই সকল হোটেল শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা পরিশোধ, এক মাসের মজুরির সমপরিমাণ উৎসব বোনাস প্রদান করতে হবে।হোটেল সেক্টরের শ্রমিকদের পরিচয়পত্র, নিয়োগপত্র, সার্ভিস বোক প্রদানসহ ঘোষিত শ্রম আইনের সকল সুযোগ-সুবিধা প্রদান করতে হবে এবং শ্রম আইনে কালো ধারাসমূহ বাতিল করে গণতান্ত্রিক শ্রম আইন প্রণয়ন করতে হবে। বক্তাগণ আরো বলেন, বর্তমান বাজারদরে সাথে সংগতি রেখে বিদ্বমান মজুরি কাঠামো পরিবর্তন করে মজুরি বৃদ্ধি করতে হবে এবং তা বাস্তবায়ন করতে হবে । ষড়যন্ত্র চক্রান্ত মোকাবেলা করে লাগাতার আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে শ্রমিকদের সকল ন্যয়সংগত দাবি দাওয়া আদায় এর জন্য ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে।
সভাপতি তার সমাপনী বক্তব্যে বলেন আগামীদিনের সকল লড়াই সংগ্রামে সকল শ্রমিক-কৃষকদের অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে পুঁজির শোষণের বিরুদ্ধে দূর্বার আন্দোলন-সংগ্রাম গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে সভার সমাপ্তি করেন।