সিলেটে জমে উঠেছে ঈদ বাজার
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ মে ২০১৯, ৩:৩৯ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে জমতে শুরু করেছে সিলেটে ঈদের বাজার। গতকাল সিলেট নগরীর অভিজাত বিপণীবিতানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় ছিল লক্ষ করা গেছে। সিলেটের ব্যাংকগুলোতে প্রচুর পরিমাণ প্রবাসীদের পাঠানো টাকা এসেছে বলে জানান ব্যাংক সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র।
এরমধ্যে অতিবাহিত হয়েছে রমজানের প্রথম দশ দিন, বিগত দিনগুলোতে মার্কেটে ক্রেতাদের আনাগুনা তেমন একটা দেখা না গেলেও আস্তে আস্তে জমতে শুরু করেছে সিলেটের ঈদের বাজার। নগরীর জিন্দাবাজারের সিটি সেন্টার, ব্লুুুওয়াটার, লতিফ সেন্টার, কাকলী শপিং সেন্টার, মিলেনিয়াম শপিং সেন্টার, শুকরিয়া মার্কেট, সিলেট প্লাজা, হাসান মার্কেট, ওয়েস্ট ওয়ার্ল্ড, আল-হামরা শপিং সিটিসহ প্রতিটি মার্কেটেই শুক্রবারেও দেখা গেছে ক্রেতাদের আনাগোনা।
ক্রেতা সমাগম দেখা যাচ্ছে নয়াসড়কের কমলা ভান্ডার, মাহাসহ প্রায় সব শপিংমলে! আসন্ন ঈদে ব্যবসা অন্যবছরের তুলনায় ভালো হতে পারে এটাই প্রত্যাশা করছেন ব্যবসায়ীরা।
নগরীর বিভিন্ন মার্কেট ও অভিজাত শপিংমলগুলোতে নিজ ও প্রিয়জনের জন্য পছন্দের পোশাক কিনতে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। আর ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী প্রস্তুত রয়েছেন দোকানীরা। রমজানের শুরুতেই অনেকে ঈদের বাড়তি ‘কালেকশন’ রেখেছেন। শুধু তাই নয় নগরীর হোটেল নুরজাহান গ্র্যান্ড এবং পানসি ইন এ চলছে মহিলা গ্র্যান্ড ঈদ শপিং নামের ঈদ মেলা। দেশি-বিদেশি নানা রকম পোশাকের স্টল দিয়েছেন বিক্রেতারা।
অভিজাত শপিংমল ছাড়াও নিম্নবিত্ত শ্রেণির লোকেরা ফুটপাতের কেনাকাটা করছেন। বাহারী রঙের কাপড়ের পসরা সাজিয়ে রেখেছেন দোকানীরা। সেখানে চলছে ভালো বেচাকেনা।
ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান বলেন, গরমের কারণে এবার ঈদে সুতি কাপড়ের চাহিদা বেশি রয়েছে। সেই সঙ্গে বেনারশি, জর্জেট, কাতান, সিল্ক, শার্টিন ও জুট কাতানের বিক্রি ভালো হচ্ছে। তরুণীদের জন্য এবারো ‘সারারা’র চাহিদা রয়েছে। সারারার সঙ্গে চলছে পালাজ্জো। সারারা ছাড়াও এবার গারারাতেও তরুণীদের চাহিদা রয়েছে। তাছাড়া গাউন, নন্দিনি, বেলবেট, ট্রেইল, লম্বা স্কার্ট, লম্বা কামিজ সব মার্কেটে ভালো চলছে। গাউনের মধ্যে ফ্লোর টাচ গাউনের চাহিদা বেশি। আবার কেউ কেউ লম্বা গাউনের সঙ্গে বাহারি ওড়নাও পছন্দ করছেন।
সিটি সেন্টারের প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার আব্দুস সামাদ বলেন, ইতিমধ্যে ব্যবসা কিছুটা জমে উঠতে শুরু করেছে। ক্রেতারা নিজেদের পছন্দের পণ্যের সঙ্গে কসমেটিক সামগ্রী কেনার জন্য প্রস্তুতি শুরু হরেছে।
ওয়েস্ট ওয়ার্ল্ড শপিং সিটির কাপড়ের ব্যবসায়ী জামাল আহমদ বলেন, ‘প্রতিবছর ঈদে যে পরিমাণ ব্যবসা হয় আশা করছি এ বছর আরো ভালো হবে, আগে থেকে মার্কেটে ক্রেতাদের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে, সবাই কেনাকাটা না করলেও এটা ব্যবসায়ীদের জন্য একটা ভালো দিক বলে আমি মনে করি।’
আল-হামরা শপিং সিটির স্বত্বাধিকারী শফিকুর রহমান বলেন, ‘ক্রেতাদের আগমন এ বছর একটু আগেই শুরু হয়েছে বলে মনে হয়, গত দু’দিন অন্যদিনের তুলনায় ভালোই ব্যবসা হয়েছে। আশা করছি এ বছর অন্যবছরের তুলনায় ভালো ব্যবসা করতে পারবো।’