পল্লী বিদ্যুতের দায়িত্বহীনতা, মধ্যরাতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ মার্চ ২০১৯, ২:২৬ পূর্বাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক :
ওসমানীনগরের ব্রাক্ষনগ্রাম এলাকায় ট্রান্সফরমারে আগুন লেগে বিদ্যুৎ সঞ্চালন অবস্থায় ৩৩ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের মেইন লাইন ছিঁড়ে পড়ে থাকলেও খবর নেই পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সিলেট-১ এর। আজ শুক্রবার রাত ১১টার দিকে ঝড়-বৃষ্টির পর পল্লী বিদ্যুৎ অফিস বন্ধ বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করলে মহাসড়কের সুপ্রীম ফিলিং স্টেশনের কাছে ট্রান্সফরমারে আগুন লেগে যায়। পরবর্তীতে বিদ্যুৎ সঞ্চালন অবস্থায় মেইন লাইনে আগুন ধরে কয়েক মিটার ৩৩ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের লাইন ছিঁড়ে মহাসড়কে পড়ে থাকে। এ সময় মহাসড়কের পাশে তেল পাম্পের কাছাকাছি বিদ্যুৎ সঞ্চালন অবস্থায় মেইন লাইন পড়ে থাকায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ওসমানীনগর থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বার বার বিদ্যুৎ অফিসে ফোন করলেও দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের সাড়া পাওয়া যায়নি।
বিদ্যুৎ অফিসের এমন দায়িত্বহীনতার প্রতিবাদে রাত সাড়ে ১২টায় এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এর আগে বিষয়টি অবহিত করার জন্য এলাকাবাসী অভিযোগ কেন্দ্র ও কর্মকর্তাদের বার বার ফোন করা হলেও বিদ্যুৎ অফিস কর্মীদের পাত্তা পাওয়া যায়নি। ঘটনার ঘন্টা দুয়েক পর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সাদিপুর জোনালের একজন কর্মীর মাধ্যমে যোগাযোগ করে লাইন বন্ধ করা হয়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত ১১টায় ঝড়ের পর বিদ্যুৎ সংযোগ চালু হওয়ার সাথে সাথেই ট্রান্সফরমারে আগুন লেগে যায়। কিচ্ছুক্ষন পর আবার বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করা হয়। পরবর্তীতে আবার বিদ্যুৎ সংযোগ চালু হওয়ার সাথে সাথেই ট্রান্সফরমারের আগুন মেইন লাইনে ছড়িয়ে পড়ে। এতে করে কয়েক মিটার ৩৩ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের লাইন ছিঁড়ে মহাসড়কের তেল পাম্পের পাশে পড়ে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়।
খবর পেয়ে সুরমানিউজ অফিস থেকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সিলেট-১ এর ডিজিএম, এজিএমসহ অভিযোগ কেন্দ্রের নাম্বারে টানা ২০ মিনিট ফোন করলেও সাড়া মিলেনি।
এ ব্যাপারে সুপ্রীম ফিলিং স্টেশনের মালিক আব্দুল হামিদ সুরমানিউজকে বলেন, রাত ১১টায় ঝড়ের পর বিদ্যুৎ আসার সাথে সাথেই ট্রান্সফরমারে আগুন দেখা যায়। এরপর বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হয়ে গেলেও পরবর্তীতে আবার বিদ্যুৎ চালু হয়। এতে সাথে সাথেই ট্রান্সফরমারের আগুন মেইন লাইনে ছড়িয়ে পড়ে। আগুন ধরায় মেইন লাইন ছিঁড়ে আমার তেল পাম্পের পাশে মহাসড়কে পড়ে থাকে। এ বিষয়ে বিদ্যুৎ অফিসে বার বার যোগাযোগ করলেও তাঁরা কোনো পাত্তা দেয়নি। বিদ্যুৎ চালু অবস্থায় মহাসড়কে মেইন লাইন পড়ে থাকায় বড় দুর্ঘটনার আশংকা ছিল।