মৌলভীবাজারে গাছ চোরদের হামলায় বন কর্মকর্তাসহ আহত ২
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ আগস্ট ২০১৭, ৯:২৮ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় রিজার্ভ ফরেস্ট থেকে চুরি করে কেটে নেয়া গাছ-কাঠ আটক করতে গিয়ে শুক্রবার বিকেলে সংঘবদ্ধ গাছ চোরদের হামলায় বন কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন দাস ও এক বন কর্মচারী আহত হয়েছেন। আটক করা কাঠ ছিনিয়ে নিয়ে কাঠ চোররা তাদের প্রাণনাশের চেষ্টা চালালে বন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়ে আত্মরক্ষা করেন। পরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করেছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
আহত বন কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিজিবি ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পাথারিয়া রিজার্ভ ফরেস্টের উত্তর ডিমাই এলাকায় ১৯৯০ সালের সৃজিত দীর্ঘমেয়াদী বাগানের পাশ থেকে শুক্রবার সকালে ব্যাপক গাছ কেটে নেয় সংঘবদ্ধ গাছ চোরেরা। খবর পেয়ে বিকেলে বড়লেখা সহযোগী রেঞ্জ কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন দাস বন প্রহরী সুলতানুল ইসলাম আকরামকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে চোরাই কাঠগুলো আটক করেন। এসময় চোরেরা পালিয়ে যায়। কাঠ ও গাছ নিয়ে বড়লেখা শহরে ফেরার সময় স্থানীয় কুটুমনা, রাজ্জাক, রফিক গংরা ষাটমাপার বাজার এলাকায় বন কর্মকর্তাদের ওপর হামলা চালিয়ে কাঠ ও গাছগুলো ছিনিয়ে নেয়।
তারা বন কর্মকর্তা সহ অন্যদের প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে তাদেরকে ধাওয়া করলে স্থানীয় বোবারথল বিজিবি ক্যাম্পে তারা ঢুকে আত্মরক্ষা করেন। পরে বিজিবি ছিনিয়ে নেওয়া গাছ ও কাঠগুলো উদ্ধার করে।
হামলায় বন কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন দাস, বন প্রহরী সুলতানুল ইসলাম আকরাম আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে বন বিভাগের বড়লেখা রেঞ্জের সহযোগী বন কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন দাস বলেন, ‘রিজার্ভ ফরেস্ট থেকে জ্বালানি কাঠ ও গাছ চুরির গোপন সংবাদে সেখানে গিয়ে প্রায় ৫০ হাজার টাকার জ্বালানি কাঠ ও গাছ জব্দ করি। এসময় গাছ চোরেরা পালিয়ে যায়। বিকেলে জ্বালানি কাঠ ও গাছ নিয়ে ফেরার পথে চোরেরা আমাদের উপর হামলা করে। পরে বিজিবি ও পুলিশ আমাদের উদ্ধার করে। ঘটনাটি ইউএনও স্যারকে জানিয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে এ বিষয়ে মামলা করা হবে।’
বড়লেখা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) দেবদুলাল ধর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘বিজিবি বন কর্মকর্তাদের উদ্ধার করে। পুলিশ ছোটলেখা বাজার থেকে কাঠের গাড়িসহ বন কর্মকর্তাদের কার্যালয়ে পৌঁছে দেয়। এ ঘটনায় বন বিভাগের পক্ষ থেকে মামলা দেওয়া হয়নি। মামলা হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’