বালাগঞ্জে ফের দেখা দিয়েছে বন্যা : কুশিয়ারা ডাইক ও নতুন বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ আগস্ট ২০১৭, ১১:৩৪ পূর্বাহ্ণ
রজত দাস ভুলন, বালাগঞ্জ থেকে:
বালাগঞ্জ উপজেলায় ফের বন্যা দেখা দিয়েছে। কুশিয়ারা ডাইক ও নতুন বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি। অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে কুশিয়ারার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নদীর তীরবর্তী গ্রাম গুলোসহ উপজেলার নিন্মাঞ্চলের গ্রামগুলো বন্যায় আবার প্লাবিত হয়েছে। নতুন করে রোপন করা হালি তলাও নিয়ে গেছে বলে জানান পূর্বপৈলন পুর ইউপি চেয়ারম্যান মো আব্দুল মতিন। কুশিয়ারা ডাইকের অবস্থাও করুন বলে জানান উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাওঃ সৈয়দ আলী আজগর।
কুশিয়ারা ও বড়ভাগা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় উপজেলার গুড়াপুর, বিতুনীয়া, উসনপুর, কায়িারগাও, রাধাকোনা, করচারপাড়, শাহজাহানপুর, মাকড়সী, সিংড়াকোনা, মকবেলপুর, মজলিশপুর, একালিমা সিংড়াকোনা, জালালপুর, রশিদপুর, হামছাপুর, পৈলনপুর, ইছাপুর, তেঘরিয়া, শ্রীনাথপুর, েিনাদপুর, কলুমা, সহ অনেক গ্রামগুলোর রাস্তাঘাট সহ এলাকার নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
এতে বন্যা কবলিত গ্রামগুলোর হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় বসতবাড়িতে অবস্থান করছেন।
দীর্ঘ মেয়াদী এই বন্যার কারণে পানিবন্দী মানুষ নানা দুর্ভোগের মধ্যে দিন অতিবাহিত করছেন।
জালালপুর গ্রামের আব্দুল মিয়া বলেন আমরা বঙ্গপুর ও রশিদপুর কুশিয়ারা ডাইকের ভাংগা অংশে সাকো দিয়েছিলাম গতরাতে পানি বৃদ্বি পেয়ে তা ভেংগে নিয়ে চলে যায়।
পূর্বপৈলন পুর ইউপি চেয়ারম্যান মো আব্দুল মতিন বলেন, নতুন করে কৃষকরা হালিতলা তৈরী করেছিলো তাও পানি বৃদ্বি পাওয়ায় তলিয়ে গেছে।
বালাগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল মুনিম বলেন আমার ইউনিয়রে ১০টি গ্রামেতে নতুন করে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকেই পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন।
বালাগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা সৈয়দ আলী আজগর বলেন, নতুন করে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কুশিয়ারা ডাইকের অবস্থা করুন হচ্ছে। অনেক ফিসারির মাছ চলে যাচ্ছে।
বালাগঞ্জের বোয়ারজুড় ইউপি চেয়ারম্যান মো আনহার মিয়া বলেন নতুন করে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে গ্রামীন রাস্তাগুলো ডুবে গিয়ে লোকজনরা আবার নতুন করে দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন ।
বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রদীপ সিংহ বলেন, পানি ৬টি ইউনিয়নেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্থানীয় চেয়ারম্যানরা খোজ খবর রাখছেন আমিও প্রশাসনিক ভাবে দেখছি। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে।
বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদাল মিয়া বলেন, আমরা এই দফা নিয়ে ৪ বারের মতো বন্যায় আক্রান্ত হচ্ছি। সবকটি ইউনিয়নেই পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।