বালাগঞ্জ-ওসমানীনগর উপজেলায় সাপের সন্ধানে ছুটে যান ইব্রাহীম আলী
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ আগস্ট ২০১৭, ১২:২০ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
সাপের সন্ধানে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে এমনকি শহরের পর শহরে অবিরাম ছুটে চলেছেন ইব্রাহীম আলী। অফিস কিংবা বাসাবাড়িতে সাপের উপদ্রবের সন্ধান পেলেই সঙ্গে সঙ্গে ছুটে গিয়ে সাপ ধরে আনছেন। দুধরাজ, আলদ, মাছুয়া আলদ, নগাই আলদ, কেরেট আলদ, সূর্যমুখী, ভিমরাজ ও পঞ্চনাগসহ বিরল ও বিষধর প্রজাতির সাপ। ইব্রাহীম আলীর দাবি তিনি একজন গুণী, স্বর্পরাজ ও ওঝা। তার ছেলে আল-মামুনও গুণী ও স্বর্পরাজ। সাপ ধরতে ছেলে আল-মামুনই তাকে সহযোগিতা করেন। বেশ কিছু দিন ধরে ইব্রাহীম আলী সিলেটের বিভিন্ন উপজেলায় ঘুরে বেড়িয়েছেন। মধ্যখানে কিছুদিন দেশের অন্যত্র অবস্থান করলেও সাম্প্রতিক বন্যায় সাপের উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় ইব্রাহীম আলী আবারো বালাগঞ্জ ও ওসমানীনগর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে সাপের সন্ধানে অবিরাম ছুটে চলছেন। স্বর্পরাজ ইব্রাহীম আলী বলেন, দীর্ঘদিনের সাধনা ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সাপ ধরা ও সাপ পোষার পাশাপাশি বনজ ঔষধের মাধ্যমে মানুষের উপকারও করে আসছেন। কারও বাসাবাড়িতে সাপের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে থাকলে তার ব্যক্তিগত মোবাইল এবং তার ছেলের মোবাইলে (ইব্রাহীম আলী ০১৭৪৭-৩১৫৮৮১, আল-মামুন ০১৭৭৭-২১৫৩১৫) যোগাযোগ করার জন্য বিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ করেন। বর্তমানে তিনি ও তার পরিজন স্থায়ীভাবে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সোনাপুর গ্রামে বসবাস করছেন। ইব্রাহীম আলীর পুরো পরিবার সাপ ধরা পেশায় নিয়োজিত। সাপ সম্পর্কে ইব্রাহীম আলী বলেন, কিছু সংখ্যক বিষধর সাপ রয়েছে এই সাপগুলো ছোবল দিয়ে মানুষের মৃত্যু হতে পারে সঙ্গে সঙ্গে যথাযথ চিকিৎসা করালে বাঁচানোও সম্ভব। সাপের শরীরে আঘাত না পেলে সাধারণত মানুষকে ছোবল দেয় না। গ্রামাঞ্চলের প্রত্যেক বাড়িতেই বিভিন্ন প্রজাতির সাপ আছে। এর মধ্যে কিছু সাপ আছে এসব সাপকে ‘বাড়ির রাখাল’ বলা হয়। বাড়ি রাখাল সাপকে সহজে ধরা বা মারা যায় না। বিষধর সাপগুলোকে ধরতে অনেক সময় নানা বিপত্তির মধ্যে পড়তে হয়। তবে সাপ কিন্তু মানুষের চাইতে বিষাক্ত নয় কারণ সমাজের অনেক মানুষ আছে হিংস্র জন্তুর চেয়েও তারা জগন্য। সাপ প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি মানুষের জন্য উপকারী বিভিন্ন ভ্যাকসিন তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। তাই সাপকে শত্রু মনে না করে বন্ধু হিসেবে বিবেচনা করা উচিত।