ওসমানীনগরে রড ছাড়া কলেজ ভবন নির্মাণ : তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের দল
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ জুলাই ২০১৭, ১২:১১ পূর্বাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক: ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজার আদর্শ মহিলা ডিগ্রী কলেজের রড ছাড়াই ভবন নির্মাণের ঘটনায় তদন্ত করেছে উচ্চ পর্যায়ের একটি দল। শিক্ষা প্রকৌশল চট্টগ্রাম সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান সরকারের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত ভবনের বিভিন্ন কাজ পরিদর্শন করা হয়। তবে তদন্তের ব্যাপারে সাংবাদিকদের কাছে কোন ধরণের মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন ঐ কর্মকর্তা। এমনকি এসময় তদন্তকালীন সময়ে কোন ধরণের ছবি তুলতেও আপত্তি জানান তিনি। তদন্তের সময় তিনি ভেঙ্গে ফেলা কয়েকটি ভাঙ্গা পিলার ও লিন্টেল দেখেন।
এ সময় উপস্থিত অনেকেই ভবনের সর্বত্রই রড ব্যবহারে দূর্নীতি হওয়ার আশংকার কথা ব্যক্ত করলে নতুন করে কোন লিন্টেন বা পিলার ভাঙলে ভবন ঝুঁকিতে পড়ার আশংকা দেখান। তদন্ত কালে তার সাথে ছিলেন, সিলেট জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল হাকীম এবং সহকারি প্রকৌশলী আবু সাঈদ। তদন্ত কর্মকর্তা প্রথমে কলেজ গর্ভনিং বডির সদস্য ও কলেজ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য শোনেন। তবে তদন্ত কালে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী ও ঠিকাদারের কেউ উপস্থিত ছিলেন না। তদন্ত কালে তিনতলার সিড়ির কাজেও দূূর্নীতি ধরা পড়ে বলে জানান সিলেটে জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ আশিক মিয়া।
তদন্ত কর্মকর্তা তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান সরকার বলেন, ভবনের বিভিন্ন কাজ পরিদর্শন করেছি। তবে এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে পারবো না। আমার মন্তব্য তদন্ত রিপোর্টেই পেশ করবো।
প্রসঙ্গত, প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে গোয়ালাবাজার আদর্শ মহিলা ডিগ্রী কলেজের ৪ তলা ভবনের নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠলে গত শনিবার বিকেলে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও কলেজ গর্ভনিং বডির সভাপতি ইয়াহইয়া চৌধুরী সরেজমিনে এসে ভবনের নিচ তলার কয়েকটি পিলার ও লিন্টেল ভেঙ্গে দূর্নীতির প্রমাণ পান। এ সময় দেখা যায় আর্চের পিলারের মাথায় রড বের করা থাকলেও ভিতরে কোন রড নেই। এ ছাড়া লিন্টেলে রড ব্যবহার করলেও ৬ ইঞ্চি দুরত্বে পিঞ্জিরা ব্যবহার (খাচা) করার কথা থাকলেও কোন কোথাও তা ব্যবহার করা হয়নি। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার, প্রকৌশলীসহ ১৩জনকে অভিযুক্ত করে দুদকে ও থানায় পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করেন কলেজ অধ্যক্ষ আবদুল মুকিত আজাদ। শনিবার তৃতীয় ও চতুর্থ তলার ঠিকাদার শাহ আলমসহ তার দুই সহযোগীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন এমপি এহিয়া চৌধুরী।