এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে আবারও ভাঙচুর : হোস্টেল অনির্দিষ্ট কালের বন্ধ, তদন্ত কমিটি গঠন
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ জুলাই ২০১৭, ৩:৪৭ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
দলীয় গ্রুপিংয়ের জের ধরে ঐতিহ্যবাহী সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাস আবারো ভাঙচুর করা হয়েছে। ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ফের হামলা ভাঙচুরের ঘটনায় সিলেট এমসি কলেজ হোস্টেল অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষনা ও তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে কলেজে জরুরি বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ঘটনায় দোষীদের খুঁজে বের করতে অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আব্দুল কুদ্দুসকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে এবং আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের অনুসারীরা এমসি কলেজ ছাত্রাবাস ফের ভাংচুর করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সকাল ১১ টার দিকে রঞ্জিত সমর্থিত গ্রুপের টিটু চৌধুরীর অনুসারী নেতাকর্মীরা এ ভাংচুরের ঘটনা ঘটায়।
এ ঘটনার পরপর কলেজ কর্তৃপক্ষ সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সকল ছাত্রদের ছাত্রাবাস ছাড়ার নির্দেশ দেয়।
ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করে শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল আলম জানান, বিপুল সংখ্যক পুলিশ ছাত্রাবাসে মোতায়েন করা হয়েছে। খবর পেয়ে এমসি কলেজের অধ্যক্ষ নিতাই চন্দ্র চন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
জানা যায়, বুধবার (১২ জুলাই) রাত ১০টায় সঞ্জয় গ্রুপের অনুসারীরা ছাত্রাবাসে অস্ত্রের মহড়া দেয় এবং এর কিছু আগে টিলাগড় পয়েন্টে ছাত্রলীগ দুই গ্রুপের মারামারির ঘটনাও ঘটে। এতে আহত ছাত্রলীগ কর্মী রাহাত ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ভাংচুর চালায় রঞ্জিত সমর্থিত গ্রুপের ছাত্রলীগ নেতা টিটু চৌধুরীর অনুসারী নেতাকর্মীরা।
ছাত্রাবাসের প্রথম ব্লকের ২টি কক্ষের দরজা-জানালা, ২য় ব্লকের একটি দরজা ও জানালা, শ্রীকান্ত ব্লকের ৬টি দরজা ও জানালা, ৫ম ব্লকের ১৪টি দরজা ও জানালা এবং ৪র্থ ব্লকের ১৬টি দরজা ও জানালা ভাংচুর করে তারা।
এর আগে ২০১২ সালের ৮ জুলাই এমসি কলেজে ছাত্রশিবিরের সাথে সংঘর্ষের জের ধরে হলের একটি ব্লক পুড়িয়ে দেয় ছাত্রলীগ, হল পুড়ানোর সাথে জড়িতরাই আজকের এ ভাংচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে কলেজটির অধ্যক্ষ বলেন, আগের ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে যদি তাদের শাস্তির আওতায় আনা হতো তাহলে আজকের এ ঘটনা ঘটতো না।
তিনি এ ব্যাপারে আরো বলেন, পূর্বে হল পুড়ানোর ঘটনার তদন্ত এখনো চলছে। খুব শীঘ্রই অপরাধীদের চিহ্নিত করে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান তিনি।