সিলেটে সাফাত অবাঞ্ছিত !
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ মে ২০১৭, ৫:০২ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
রাজধানীর বনানীতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিমের ছেলে সাফাত আহমেদকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি সিলেটের গোলাপগঞ্জে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় দোষী প্রমাণিত হলে তাকে এলাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
আপন জুয়েলার্সের মালিকের বাড়ি এ উপজেলায় হলেও তা অনেকের কাছে দীর্ঘদিন অজানা ছিল। এমনকি তার নিজ এলাকা উপজেলার ঢাকাদক্ষিণের নগর গ্রামের অনেকেই তাদের ভালো মতো চেনেন না।
এলাকার একটি সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় লোকজনকে তারা সব সময় এড়িয়ে চলতেন। সাফাত মাঝে মধ্যে বাড়িতে আসা-যাওয়া করলেও এলাকার লোকজন টের পেত না। কিন্ত গত ৫-৬ বছর থেকে এলাকার লোকদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়ে দেন সাফাত ও তার পরিবারের লোকজন।
ধর্ষণের ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয় ইউপি সদস্য সেলিম আহমদ বলেন, হঠাৎ করে এলাকার লোকজনের সঙ্গে তারা সখ্য গড়ে তোলে। অসহায় লোকদের মধ্যে দান-খয়রাত করার কারণে তারা মনে করতেন সাফাত ভালো মানুষ। কিন্তু ধর্ষণের ঘটনায় সাফাত জড়িত থাকা ও তার বাবা দিলদার আহমেদ সেলিম ঘটনার পর গণমাধ্যমে ছেলের পক্ষে সাফাই গাওয়ার পর তাদের আসল মুখোশ উন্মোচন হয়। এলাকার কেউ তাদের এ অপকর্ম মেনে নিতে পারছেন না।
নগরগ্রামের বাসিন্দা আবুল হোসেন বলেন, ধর্ষণের ঘটনা প্রমাণিত হলে তাদের এলাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে। এদের কারণে গোটা এলাকা লজ্জায় পড়েছে। দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ মার্চ বন্ধুর সঙ্গে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়ে বনানীর ‘দ্য রেইনট্রি’ হোটেলে ধর্ষণের শিকার হন দুই বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণী। ওই ঘটনার প্রায় ৪০ দিন পর গত ৬ মে বনানী থানায় অভিযুক্ত সাফাত আহমেদ, নাঈম আশরাফ ও সাদমান সাকিফসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তারা।
মামলার আসামি সাফাত আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে। আর সাদমান সাকিফ রেগনাম গ্রুপের মালিকের ছেলে এবং ওই গ্রুপের পরিচালক। নাঈম আশরাফ নিজেকে আওয়ামী লীগ নেতার ছেলের বন্ধু বলে পরিচয় দিয়ে থাকেন। তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় নানা প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে।