সুরমা নদীর ভাঙ্গন অব্যাহত, বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি ও বাড়িঘর
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ মে ২০১৭, ৩:২০ অপরাহ্ণ
কানাইঘাট সংবাদদাতা:
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে সুরমা ও লোভা নদীর বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। সুরমা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনের মুখে প্রতিদিন ফসলি জমি ও মানুষের বাড়ি ঘর নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। অনেকে ভিটাবাড়ি হারিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিচ্ছেন। সুরমা নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকায় ডাইকে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে কানাইঘাট পৌর সভার ডালাইচর গ্রাম সংলগ্ন কান্দেবপুর খেয়াঘাট সুরমা ডাইকে ভয়াবহ ভাঙ্গন দেখা দেয়ায় রাস্তায় সব ধরনের ছোট বড় যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে ডাইকটি একেবারে ভেঙ্গে কানাইঘাট পৌর শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
গত ১৮ এপ্রিল সিলেটের জেলা প্রশাসক রাহাত আনোয়ার ও সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কান্দেবপুর খেয়াঘাট সুরমা ডাইকের ভয়াবহ ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেটের কর্মকর্তাদের জরুরী ভিত্তিতে ভাঙ্গন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক। পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রাথমিক ভাবে ভাঙ্গন রোধে ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ করলেও ভাঙ্গন রোধের জন্য কোন কাজ শুরু হয়নি। বাকিতে কোন ঠিকাদার কাজ করছেন না বলে জানা গেছে।
এদিকে, স্থানীয় এলাকাবাসী জানিয়েছেন, দ্রুত ডালাইচর কান্দেবপুর খেয়াঘাট সুরমা ডাইকের ভাঙ্গন রোধে কাজ শুরু না হলে চরম বিপর্যয় নেমে আসবে। এতে করে উপজেলা সদর বন্যার পানিতে তলিয়ে যাবে। সুরমা ও লোভা নদীর ভাঙ্গন সম্প্রতি সময়ে তীব্র আকার ধারন করেছে। মাইলের পর মাইল নদীর তীরবর্তী এলাকার বিভিন্ন স্থানে নদী ভাঙ্গন ভয়াবহ আকার ধারণ করায় শংকিত হয়ে পড়েছেন নদীর তীরবর্তী বসবাসরত মানুষজন।
সম্প্রতি ছোটদেশ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে সুরমা ডাইকে ভয়াবহ ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। অর্ধ শতাধিক গ্রাম লোভা ও সুরমা নদীর তীরবর্তী এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় প্রতিদিন ফসলি জমি থেকে শুরু করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘর নদীগর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে। নদী ভাঙ্গন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন সচেতন মহল।