ক্রিম ব্যবহার করলেই ত্বকের ক্ষতি!
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ এপ্রিল ২০১৭, ৪:২৩ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজঃ গত কয়েক দশকে হঠাৎ করেই সবার মধ্যেই কেমন যেন ফর্সা হওয়ার হিড়িক পরে গেছে। তাই তো সবাই নানা ধরনের ফেস হোয়াইটনিং ক্রিম ব্যবহার করছেন। আচ্ছা আপনাদের কি জানা আছে এই সব ক্রিম আদৌ ত্বকের জন্য ভাল কিনা?
ফর্সা হওয়ার ক্রিম মাত্রাতিরিক্ত হারে ব্যবহার করলে ত্বকের এই ধরনের ক্ষতি হতে পারে। আসুন জেনে নেই সেই সম্পর্কেঃ
স্কিন ক্যান্সারের আশঙ্কা বাড়েঃ
ফর্সা হওয়ার ক্রিমে মূলত হাইড্রোকুইনান এবং মারকিউরি, এই দুটি ক্যামিকেল ব্যবহার করা উচিত। সে জায়গায় বাজার চলতি বেশির ভাগ ক্রিমেই এই দুই উপাদানের পাশাপাশি অনিয়ন্ত্রিত ভাবে স্টেরোয়েড এবং ট্রেটিনোইন নামে দুটি উপাদান মেশান হয়, যা কার্সিজেনিক। অর্থাৎ এই দুটি উপাদানের থেকে স্কিন ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সেই সঙ্গে লিভারের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।
হাইপারপিগমেন্টটেশনঃ
যে সব ফর্সা হওয়ার ক্রিমে ২ শতাংশের বেশি হাইড্রোকুইনান থাকে, সেইসব ক্রিম টানা ৩ মাস মুখে লাগালে মুখ ফর্সা হওয়ার পরিবর্তে কালো হয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে মুখের পাশপাশি সারা শরীরে হাইপারপিগমেন্টটেশনের মতো ত্বকের রোগ হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়।
চামড়া শক্ত হয়ে যায়ঃ
দীর্ঘদিন ধরে নানা ক্যামিকেল দিয়ে তৈরি এইসব ক্রিম মুখে লাগালে ত্বক তার সৌন্দর্য হারাতে শুরু করে। সেই সঙ্গে চামড়া মোটা হয়ে যাওয়া, স্ট্রেচ মার্ক সহ নানাবিধ ত্বকের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।
চুলকানিঃ
হাইড্রাকুউনানের প্রভাবে চুলকানি, কালো ছোপ, মুখ লাল হয়ে যাওয়া, ড্রাই স্কিন এবং প্রচন্ড জ্বালা হাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ত্বকের সংক্রমণঃ
২০০৩ সালে ব্রিটিশ জার্নাল অব ডার্মাটোলজিতে প্রকাশিত এক রিপোর্ট অনুসারে যারা ব্রণ, ডার্মাটাইটিস এবং একজিমার মতো ত্বকের রোগে ভুগছেন তারা যদি ফর্সা হাওয়ার ক্রিম ব্যবহার করেন, তাহলে এই সব রোগের প্রকোপ আরও বৃদ্ধি পায়। ফলে মুখের সৌন্দর্য বাড়ার পরিবর্তে ত্বকের সংক্রমন আরো বেড়ে যায়। সূত্রঃ ডেইলি মেইল।