ফেঞ্চুগঞ্জের একই পরিবারের ১২জন সদস্য সিরিয়ায় যুদ্ধরত !
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ এপ্রিল ২০১৭, ৪:১৫ অপরাহ্ণ
ফেঞ্চুগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের মাইজগাঁও ইউনিয়নের করিমপুর গ্রামের একই পরিবারের ১২ জন সদস্য সিরিয়ায় গিয়ে আইএস এর পক্ষে যুদ্ধরত আছেন বলে তাদের পারিবারিক সুত্রে এমন খবর পাওয়া গেছে।
পারিবারিক সুত্র জানায়, ২০১৫ সালের জুন মাসে নবীনসহ তার পরিবারের ১২ সদস্য নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে এরইমধ্যে পুলিশ তাদের বাড়িতে গিয়ে স্বজনদের জিজ্ঞাসা করেছে। এছাড়া পুলিশ তাদের পরিবারের সদস্যদের ছবিও সংগ্রহ করেছে।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে নবীনের বাড়িতে গিয়ে কথা হয় তাদের চাচাতো ভাই সাব্বির হোসেনের সঙ্গে।
সাব্বির বলেন আমার চাচা-চাচাত ভাই পারিবারিক সুত্র জানায়, ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে লন্ডন থেকে দেশে আসে। এক মাস দেশে থাকার পর তারা আবারও লন্ডনে ফিরে যাবে বলে আমাদের জানায়। তারা সেখানে গেছে কিনা তা জানার জন্য লন্ডনে আমাদের অন্য আত্মীয়র সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা জানিয়েছে, তুরস্কে যাওয়া পর্যন্ত তাদের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। এরপর আর কোনও খবর নাই।’
তিনি আরও বলেন তাদের সুস্থ অবস্থায় দেশে ফিরে আসার অপেক্ষায় আমরা আছি।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সিরিয়ায় আইএস জঙ্গিদের সঙ্গে যুদ্ধে অংশ নেয় নবীনদের পরিবারের ১২ সদস্য। তারা প্রায় দুই বছর ধরে নিখোঁজ রয়েছে। নবীনসহ পরিবারের নিখোঁজ অন্য সদস্যরা হলো- নবীনের বাবা আব্দুল মন্নান, মা মিনারা বেগম, বড়ভাই সালেক হোসেন, মারিয়া বেগম, পালিয়ে যাওয়ার মূল পরিকল্পনাকারী রাজিয়া বেগম, তৌফিক হোসেন, আকিফ হোসেন। নিখোঁজের তালিকায় আরও আছে মান্নানের ছোট ভাই আবুল কাশেম। সে মারিয়া বেগমের স্বামী। এছাড়া তাদের মেয়ে ফাতিমা বেগম, আব্দুল মান্নানের ছেলে সালেকের স্ত্রী রওশন আরা বেগম ও তাদের এক কন্যা সন্তানও নিখোঁজ রয়েছে।
এ বিষয়ে ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস ছালেক বলেন, ‘পুলিশ নবীনদের বাড়িতে গিয়ে সব ধরনের তথ্য ও ছবি সংগ্রহ করেছে। অস্ত্র হাতে যে যুবকটির ছবি পাওয়া গেছে, তার নামই নবীন। প্রায় দুবছর আগে নবীনরা তার বোন রাজিয়া বেগমের মাধ্যমে সিরিয়ায় গেছে বলে বাড়িতে থাকা নবীনের চাচা লতিফ মিয়া পুলিশকে জানিয়েছেন।