বালাগঞ্জে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে হত-দরিদ্রের ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ এপ্রিল ২০১৭, ৯:৩৯ অপরাহ্ণ
বালাগঞ্জ প্রতিনিধিঃ বালাগঞ্জে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে হত-দরিদ্রের ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে উপজেলার বোয়ালজুড় ইউনিয়নের নশিরপুর গ্রামের বাসিন্দা ওয়ারিছ আলী সোমবার (১০ এপ্রিল) বিকালে বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, বোয়ালজুড় ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার নজরুল ইসলাম অভিযোগকারী ওয়ারিছ উল্লাহর পুত্রবধু রুনা বেগমকে মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদানের আশ্বাস দেন। এরই ধারাবাহিকতায় ইউনিয়ন অফিসের চৌকিদার হিমাংশু নমসূত্র ওয়ারিছ উল্লাহর বাড়িতে গিয়ে রুনা বেগমের ভাতা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ভাতা অনুমোদন করতে মেম্বারের খরচ বাবদ এক হাজার টাকা দাবি করেন। তাৎক্ষনিক ওয়ারিছ আলী চৌকিদারকে এক হাজার টাকা দিতে অপারগতা জানিয়ে তাকে একশত টাকা হাত খরচ দিয়ে বিদায় করে দেন। গত ২৮ মার্চ ওয়ারিছ আলী ইউনিয়ন অফিসে গিয়ে পুত্রবধুর নামের মাতৃত্বকালিন ভাতার তিন হাজার টাকা উত্তোলন করেন। ৮ এপ্রিল বিকেলে চৌকিদার আবারও ওয়ারিছ আলীর বাড়িতে গিয়ে মেম্বারের কথা বলে ৯’শ টাকা দাবি করেন। এসময় চৌকিদারকে টাকা না দিয়ে ফিরিয়ে দিলে ঘন্টাখানেক পর মেম্বারের ভাই জিলু মিয়া ওয়ারিছ আলীর বাড়ীতে গিয়ে টাকার দাবি করেন। এসময় ওয়ারিছ আলী টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে জিলু মিয়া তাকে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে চলে যান। ঐ দিন বিকাল ৪টায় ইউপি সদস্য নজরুল এবং তার ভাই জিলু মিয়া, সিরাজ, চাচাতো ভাই হেলাল মিয়া ও চৌকিদার হিমাংশুসহ ১৫-২০জন লোক সংঘবদ্ধ হয়ে দেশিয় অস্ত্র নিয়ে ওয়ারিছ উল্লাহর বসত ঘরে হামলার চেষ্টা চালায় বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম প্রতিবেদককে বলেন, রুনা বেগমকে যথানিয়মে মাতৃত্বকালীন ভাতা দেয়া হয়েছে। ভাতা দেয়ার বিষয়ে কারো কাছ থেকে কোন টাকা নেয়া হয়নি। হোল্ডিং ট্যাক্স নিয়ে চৌকিদার হিমাংশুর সাথে জনৈক ওয়ারিছ উল্লাহর দেন দরবার হয়েছে । বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রদীপ সিংহ অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিয়য়টি তদন্ত করে দেখা হবে।