চন্ডিচড়ার সেতুর এ কি হাল?
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ মার্চ ২০১৭, ১০:৫৭ অপরাহ্ণ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার ৩ নং দেওরগাছ ইউপির চা-বাগান বেষ্টিত চন্ডির ব্রীজটি স্ল্যাবের প্রায় ৪/৫ হাত জায়গা মাটির সরে গেছে। ফলে এটি একটি ঝুলন্ত সেতুতে পরিণত হয়েছে। এদিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মেরামতে কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। দীর্ঘদিন ধরে মেরামত না হওয়ায় স্থানীয় জনসাধারণরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, অনতিবিলম্বে মাটির ফেলানো কাজ শুরু না করলে যে কোনো সময়ে ব্রীজটি হেলে বা নিচে দিকে ধষে পরতে পারে। সরজমিনে ঘুরে ব্রীজের করুণ চিত্র পাওয়া যায়। মাটির সরে যাওয়ার কারণ জানিয়ে চন্ডির চা-বাগানে কয়েকজন শ্রমিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, চন্ডি বাগানের ছোট খাল থেকে বড় খালে পরিনত হওয়ার একমাত্র কারণ বালু উত্তোলণ। একশ্রেণী অসাধুরা মেশিন দিয়ে বালু তুলার ফলে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ পাশাপাশি সড়কেও ক্ষতি হয়েছে । আর সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয়েছে চন্ডির ব্রীজের খুঁটির উভয় পাশে বালুমাটি সরে যাওয়ায়। এ দিকে সেতুটি দুই প্রান্তের চড়ায় গহিন হওয়ার কারণে বালুমাটির ধীরে ধীরে ভেঙ্গে পড়ছে। বর্ষার সময় পানির স্রোতে বালুমিশ্রত মাটির এদিকে-সেদিকে ছুটে চলে। দুর থেকে ঝুলন্ত একটা ব্রীজ মনে হবে । ব্রীজটি বয়স এখনও একযুগ পার হয় নি। স্ল্যাবের ৪/৫ হাত জায়গার মাটির সরে যাওয়ায় ব্রীজটি এখন ঝুঁকিতে পরিণত হচ্ছে। তারা আরও বলেন- এখন বালু উত্তোলণ বন্ধ রয়েছে। উপর মহল থেকে নিচ মহল পর্যন্ত প্রত্যেকেই খাই খাই অর্থ অর্জনে নিয়ে ব্যস্ত,,,, কিন্তু জনগনের সম্পদ খোয়া যাক; এটা দেখার বিষয় না !
কয়েকজন পথচারিদের কথা বলে জানান, সেতুটি দুপাশেই মাত্রারিক্ত বালু উত্তোলনের ফলে একদিকে বড় চড়া পরিণত রূপান্তরিত হয়েছে অন্যদিকে সেতুর নিচে ছোট পুকুর হয়েছে। ফলে চা- বাগানের পরিধিও হ্রাস পাচ্ছে।
চারজন চা শ্রমিক কপালী, হরেন্দ্র, আশিস, রাখেস বলেন, ব্রীজটি যে সময় তৈরি হয়েছিল সে সময় স্ল্যাবগুলো মাটির নিচে ঢাকা ছিল। এর আশেপাশে জায়গাও উঁচু ছিল। ২/৩ বছর ধরে চড়ায় বালু উত্তোলনে ফলে মানব সৃষ্ট দুর্যোগে স্ল্যাবের উভয়ই পাশে এখন মাটি নেই। ভাবতে অবাক লাগে দুই হাত খালটি এখন ২০ হাত পাশ হয়েছে।