অলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়া এক জীবন্ত কিংবদন্তী নারীর নাম খাদিজা -আদালত
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ মার্চ ২০১৭, ২:৫৮ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
সিলেটে কলেজছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিস হত্যাচেষ্টা মামলার রায়ের পর্যবেক্ষনে আদালত বলেছেন, অলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়া এক জীবন্ত কিংবদন্তী নারীর নাম খাদিজা। প্রেমে প্রত্যাখ্যাত পাষন্ড প্রেমিকের চাপাতির নৃশংস আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত খাদিজা দীর্ঘদিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে মৃত্যুর কাছে হেরে না যাওয়া সমগ্র বিশ্ব নারী সমাজের প্রতিভূ, বিজয়িনী, প্রতিবাদকারিনী।
বুধবার (৮ মার্চ) বেলা ১১টা ৩২ মিনিটে সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আকবর হোসেন মৃধা খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলার ৩০ পৃষ্ঠার রায়ে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
২৮ মিনিটব্যাপী পড়া এই রায় ঘোষণাকালে আদালতে উপস্থিত ছিলেন মামলার একমাত্র আসামি বদরুল আলম। এসময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন মামলার বাদী খাদিজার চাচা আব্দুল কুদ্দুস। রায় ঘোষণার পরপরই মামলার বাদী আব্দুল কুদ্দুস এই রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানান।
আদালত তাঁর পর্যবেক্ষনে বলেন, আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। এই দিবসে খাদিজাকে নৃশংস ও বর্বরোচিতভাবে কোপানোর অভিযোগে আসামি বদরুলের যথোপযুক্ত শাস্তি নারীদের সুরক্ষায় তাৎপর্যপূর্ণ ও ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
রায়ে আরও বলা হয়, মানব-মানবীর মধ্যে প্রেম-ভালোবাসা চিরন্তন। প্রেম-ভালোবাসায় মিলন, বিরহ থাকবেই। প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হলে এমন পৈশাচিক, নৃশংস আচরণ মোটেই কাম্য ও আইন সমর্থিত নয়।
আদালত বলেন, সাক্ষীদের সাক্ষ্য থেকে ঘটনার সাথে আসামি বদরুলের সম্পৃক্ততা অবিশ্বাস করার মতো কোন সাক্ষ্য আমি পাইনি। উপর্যুপরি ১০টি আঘাতের ধরণ এবং আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে চাপাতি কিনে আনার ঘটনা প্রমাণ করে, খাদিজাকে খুন করার পরিকল্পনা আসামির ছিল। কাজেই আমি সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি, রাষ্ট্রপক্ষ আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে।