হাজারো মানুষের শ্রদ্ধায় চিরনিদ্রায় শায়িত যুক্তরাষ্ট্রের আবাসন ব্যবসায়ী সিলেটের জাকির
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২:৫৫ অপরাহ্ণ
ফেঞ্চুগঞ্জ প্রতিনিধি:
হাজারো মানুষের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটির পরিচিত মুখ নিউইয়র্কের বিশিষ্ট আবাসন ব্যবসায়ী জাকির এ. খান।
রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার পাঠানটিলাস্থ পারিবারিক কবরস্থানে মায়ের কবরের পাশে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়। দাফনের পূর্বে কাসিম আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে জাকির খানের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। বিমানযোগে নিউইর্য়ক থেকে জাকির খানের লাশবাহী কফিন নিয়ে গতকাল রোববার সকাল ৮টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন জাকির খানের কনিষ্ঠ ভ্রাতা নিয়াজ আহমদ খান।
বিমানবন্দরে আনষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে লাশবাহী অ্যাম্বুলেসযোগে জাকির খানের মরদেহ দুপুরে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জস্থ পাঠানটিলার পাঠান বাড়িতে নিয়ে আসলে জাকির খানের পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজর পাড়াপড়শীর আহাজারিতে বাতাস ভারী হয়ে উঠে।
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার সর্বস্তরের লোকজন শেষ দেখা দেখতে জাকির খানের বাড়িতে ভিড় জমান। বাদ আছর জাকির খানের জানাজার নামাজ কাসিম আলী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা সৈয়দ সোলায়মান আহমদ।
জানাজার নামাজে অংশ নেন সংসদ সদস্য মাহমুদ-উস-সামাদ চৌধুরী, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুর রকিব মন্টু, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল কাইয়ূম চৌধুরী, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের অস্থায়ী চেয়ারম্যান মো. শহিদুর রহমান রোমানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ কয়েক হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা।
নামাজের পূর্বে সমবেত মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন- সংসদ সদস্য মাহমুদ-উস-সামাদ চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বিশিষ্ট কমিউনিটি নেতা জুনেদ আহমদ চৌধুরী ও নিহত জাকির খানের কনিষ্ঠ ভ্রাতা নিয়াজ আহমদ খান। গত বুধবার মিশরীয় দুর্বৃত্তের অতর্কিত ছুরিকাঘাতে নিহত হন বাংলাদেশী কমিউনিটির অতি পরিচিত মুখ বিশিষ্ট আবাসন ব্যবসায়ী জাকির খান।
দীর্ঘ ২০ বছর ধরে আবাসন ব্যবসার পাশাপাশি বাংলাদেশী ও আমেরিকান কমিউনিটির সাথে তাঁর সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিশেষ করে নিউইয়র্কে ২৬ শে মার্চ ‘বাংলাদেশ ডে’ ঘোষণার অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন জাকির এ. খান। তাঁর পিতা এজাফত আহমদ খান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট বৃত্তি বিতরণের জন্য আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি তাঁর দেশে ফেরার কথা ছিলো।