টিলাগড়ে মুখোশধারীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত রাজনকে নিয়ে শঙ্কা!
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২:৫০ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
সিলেট নগরীর টিলাগড়ে মুখোশধারীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গোলাম রাজন চৌধুরী এখনও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেননি। তার শরীরে আরো একটি ‘মেজর’ অস্ত্রোপচার করতে হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকার শেরেবাংলা নগরস্থ পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শুক্রবার রাত পর্যন্ত এ ঘটনায় মামলা হয়নি। আহতের বড় ভাই আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট গোলাম সোবহান চৌধুরী দ্বীপন মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে নিশ্চিত করেছেন। এদিকে পুলিশ এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি।
রাজনের বড় ভাই আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট গোলাম সোবহান চৌধুরী দ্বীপন বলেন- তিনি শুক্রবার রাতে ঢাকা থেকে ফিরেছেন। ফিরেই তিনি ভাইয়ের হামলা ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। রাতেই মামলা দায়ের করা হবে তিনি জানিয়েছেন।
এদিকে তিনি জানান- রাজনকে সিলেট থেকে পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণের পর ৩১ জানুয়ারি সকালে একটি অস্ত্রেপচার হয়। পরে ডাক্তাররা জানান তার শরীরে আরোও একটি বড় অস্ত্রোপচার করা প্রয়োজন। কিন্তু তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ার কারণে শারীরিক অবস্থা অপারেশন উপযোগী নয়। শরীর অপারেশনের জন্য প্রস্তুত হতে আরো সপ্তাহ দিন সময় লাগতে পারে।
গোলাম সোবহান বলেন- রাজনকে নিয়ে তারা খুব শঙ্কায় রয়েছেন। তার হাত পায়ে ধারালো অস্ত্রের অসংখ্য আঘাত, ডান পায়ের গোড়ালির নিচ দ্বিখন্ডিত হয়ে গেছে। এটি ভালো হবে কিনা এখনো নিশ্চিত নয়। সে সুস্থ হয়ে ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারবে কি না এটাও বুঝা যাচ্ছে না। রাজননের চিকিৎসায় ব্যস্ত থাকায় হামলা ঘটনায় মামলা দায়েরে দেরি হচ্ছে বলে জানান অ্যাডভোকেট সোবহান।
প্রসঙ্গত, সিলেট নগরীতে ছাত্রলীগের তিন নেতাকর্মীকে কুপিয়েছে মুখোশধারী একদল দুর্বৃত্ত। গত সোমবার (৩০ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে টিলাগড়ে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে গোলাম রাজন চৌধুরী অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। পরে তাকে ঢাকাতে প্রেরণ করা হয়।
ওই রাতে টিলাগড় পয়েন্টে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গোলাম রাজন চৌধুরী, ছাত্রলীগ কর্মী মাবরুর ও তানিম আড্ডা দিচ্ছিলেন। এসময় মুখোশ পরিহিত ৩/৪ জন যুবক অতর্কিতভাবে আক্রমণ চালিয়ে দা ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে আহতদের সাথে সাথে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান ছাত্রলীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
এদিকে, ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের ক্যাডাররা মিলে এ হামলা চালিয়েছে বলে দাবী করেছেন আহত রাজনের স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ভাই সাজন চৌধুরী। তার দাবি ছাত্রলীগের মঞ্জুর, ছয়েফ, জুনেদ ও ছাত্রদলের উজ্জল এবং সজল রাজনের ওপর হামলা করেছেন। কি কারণে তারা হামলা চালিয়েছে বিষয়টি তার জানা নেই বলে উল্লেখ করেন তিনি।