বদলে যাবে নগরীর ‘প্রাণকেন্দ্র’ জিন্দাবাজার
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ জানুয়ারি ২০১৭, ৯:১৮ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বদলে যাচ্ছে আধ্যাত্মিক নগরী সিলেটের প্রাণকেন্দ্র জিন্দাবাজারের পরিবেশ। গড়ে উঠবে আধুনিক সৌন্দর্যমন্ডিত ‘নান্দনিক জিন্দাবাজার’। নামের সাথেই যেন মিল রয়েছে এ এলাকার। সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় ‘জিন্দা’ শব্দের অর্থ হচ্ছে ‘জেগে / সজাগ থাকা’ ‘বেঁচে থাকা’ প্রভৃতি। জিন্দাবাজারও যেন ঘুমায় না। প্রতিদিন কাকডাকা ভোর থেকে শেষ রাত অবধি বিরামহীন মুখরিত থাকে জিন্দাবাজার। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এই এলাকাকে ঘিরে ‘নান্দনিক’ পরিকল্পনা করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)। যে পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে কাজে-অকাজে জিন্দাবাজারে আসা মানুষদের মধ্যে মুগ্ধতা ছড়াবে।
প্রতিদিন জিন্দাবাজারে আগমন ঘটে হাজার হাজার মানুষের। কিন্তু নগরীর ‘প্রাণকেন্দ্র’ হলেও জিন্দাবাজারে নেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার মতো কোনো স্থান। বেসরকারি উদ্যোগে তো বটেই, সরকারি উদ্যোগেও এখানে বিনোদনের কোনো সুযোগ সৃষ্টি করা হয়নি। যানজট আর জনজটের এ এলাকায় মানুষের বিনোদিত হওয়ার সুযোগ বড্ড বেশি সংকুচিত। তবে এবার দৃশ্যপট পাল্টাতে চাইছে সিটি করপোরেশন। সে লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে বিশেষ পরিকল্পনা। যে পরিকল্পনায় জিন্দাবাজারে তৈরী স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার মতো ‘নান্দনিক’ জায়গা।
সিসিক সূত্রে জানা যায়, জিন্দাবাজার এলাকায় বসবাসকারী এবং এ এলাকায় আগত মানুষদের বিনোদিত হওয়ার সুযোগ করে দিতে জল্লাছড়াকে ঘিরে পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। জিন্দাবাজারের পাশ ঘেষে বয়ে যাওয়া জল্লাছড়াকে নান্দনিকরূপে সাজাতে চাইছে সিসিক।
পরিকল্পনা অনুসারে, জল্লাছড়ার পাশ দিয়ে নির্মাণ করা হবে সুদৃশ্য ওয়াকওয়ে (হাঁটাপথ)। থাকবে বসার বেঞ্চ। গোটা এলাকাকে করা হবে দৃষ্টিনন্দন।
এ ব্যাপারে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব বলেন, ‘জিন্দাবাজার ব্যস্ততম এলাকা। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ এ এলাকায় আসেন। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এ এলাকায় বিনোদনের জন্য কোনো সুযোগ নেই। এজন্য জিন্দাবাজারে মানুষের স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার মতো স্থান জরুরী।’
তিনি বলেন, ‘জল্লাছড়াকে নান্দনিকরূপে সাজাতে চায় সিসিক। এ নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। জল্লাছাড়ার পাশ ঘেষে ওয়াকওয়ে নির্মাণ, বসার চেয়ার স্থাপন, ছড়া এলাকাকে দৃষ্টিনন্দন করে সাজানোর চিন্তা রয়েছে আমাদের।’
এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে ব্যবসায়ীরা বলেন, দীর্ঘ দিন পর চমৎকার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিশ্বের অনেক উন্নত শহরে ‘ওয়াক ওয়ে’ রয়েছে। জল্লাছড়ার পাশ দিয়ে সুদৃশ্য ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হলে পুরো এলাকা জুড়ে নান্দনিকতা আসবে। যদি সত্যিকারের নান্দনিক জিন্দাবাজার গড়ে তোলা হয় তাহলে ব্যবসায়ীরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।