সিলেটে অভাবনীয় সাড়া ফেলেছে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী খাবার মেজবানী!
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ জানুয়ারি ২০১৭, ৬:৪২ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
সম্প্রতি সিলেট নগরীর নয়াসড়কে চালু হয়েছে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী খাবারের সমাহার নিয়ে রেঁস্তোরা মেজবানী-টেস্ট অব চিটাগাং। চালুর পর থেকে প্রতিদিন দুপুর বিকাল সন্ধ্যা এমনকি মাঝ রাত পর্যন্ত জমজমাট থাকে এ রেঁস্তোরা । উপচে পড়া ভিড়ে জায়গা পাওয়াই কঠিন । তবু গ্রাহকরা ধৈর্য্য নিয়ে অপেক্ষা করেন, বিখ্যাত মেজবানী খেয়ে দেখার জন্য ।
বিশেষ করে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ, রাগিব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ, সিলেট ওমেন্স মেডিকেল কলেজ, লিডিং ইউনিভার্সিটির অসংখ্য তরুন-তরুনী প্রতিদিন ভিড় করছেন মেজবানীর নানা মুখরোচক খাবার একটু চেখে দেখার জন্য। পাশাপাশি ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবী সহ নানা পেশার মানুষ প্রতিদিন খেতে যাচ্ছেন এ রেস্তোরায় । আর সিলেটে বসবাসরত চট্টগ্রামের অনেকেই যেন আকাশের চাঁদ হাতে পেয়েছেন ।
মূলত পুরো রেস্তোরাটা আধুনিকতা এবং ঐতিহ্যের মিশেল সাজানো হয়েছে । রেঁস্তোরার দেয়ালে দেয়ালে শোভা পাচ্ছে চট্টগ্রামের বিভিন্ন ঐতিহ্যের স্মারক । আস্ত একটা সাম্পান বসানো হয়েছে রেঁস্তোরার এক কোনায় । যেন মিনি এক চট্রগ্রাম । দেয়ালের গায়ে পোস্টারের মতো করে ওয়ালপেপারে লিখা হয়েছে মেজবান, সাম্পান এবং চট্রগ্রাম এর ইতিহাস ।
এদিকে পরিচ্ছন্ন পরিবেশে উন্নত সেবা দিতে প্রতিমুহূর্তে তৎপর কর্মরতরা । তারা বিভিন্ন টেবিলে টেবিলে গিয়ে জানতে চান খাবার নিয়ে গ্রাহকদের প্রতিক্রিয়া ।
রেঁস্তোরার উদ্যাক্তা প্রকৌশলী রোটারিয়ান তানভীর শাহরিয়ার রিমন বলেন, আমরা সিলেটে নতুন ধরনের একটি রেঁস্তোরা চালু করেছি । আমরা বিভিন্ন রকম প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি । বিশেষ করে সিলেট ফুডিস এবং সিলেট ফুড ব্লগারসের রিভিউগুলো আমি নিয়মিত পড়ি । ইতিবাচক কিংবা নেতিবাচক প্রতিটি রিভিউকে আমি গুরুত্ব দিই । এবং কোনো অভিযোগ পেলে সেগুলো খতিয়ে দেখি এবং আমার শেফদের সাথে বিষয়গুলো আলোচনা করে সমাধানের উপায় বের করি । আমরা যেকোনো গ্রাহকদের প্রতিটি পরামর্শ অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করি ।
তিনি আরও বলেন, আমরা শুধু ব্যবসার উদ্দেশ্যে এ রেঁস্তোরা খুলিনি। আমাদের অনেকগুলো সিএসআর পরিকল্পনা আছে, যা আমরা খুব শিগগিরই শুরু করব ।
রেঁস্তোরায় পরিবার নিয়ে খেতে আসা ইউনিয়ন ব্যাংক এর ব্যবস্থাপক হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের । তিনি বলেন, মেজবানীর টেস্ট সত্যিই চমৎকার । আর কালা ভুনাটা অসাধারন । তবে তিনি চনার ডালটা আরেকটু ভালো করা যায় বলে মত দেন । পাশাপাশি রেঁস্তোরার বিভিন্ন আইটেম এর খাবারের দাম খুবই সহনীয় বলে তিনি জানান ।