উত্তাল শ্রীমঙ্গল : ধর্মঘটে অচল জনজীবন, বিপাকে ঘুরতে আসা পর্যটকরা
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ জানুয়ারি ২০১৭, ৫:৫৬ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
পরিবহন শ্রমিকদের সাথে এক বিজিবি সদস্যের কথা কাটাকাটির জের ধরে সৃষ্ট সংঘর্ষে দোকানপাট ও যানবাহন ভাংচুরের ঘটনার প্রতিবাদে আজও উত্তাল শ্রীমঙ্গল। দোকানপাট, যানবাহন বন্ধ রেখে চলছে বিক্ষোভ, শ্লোগান। শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতি ও শ্রীমঙ্গলের পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের ডাকা এই ধর্মঘটে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে শ্রীমঙ্গলের জনজীবন।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) রাত ১০ টার দিকে উপজেলার সকল দোকানপাট বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতি। ঘোষণা অনুযায়ী গতরাত থেকে এখনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
অন্যদিকে, একই ঘটনায় শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) সকাল থেকে পরবহন ধর্মঘট পালন করছেন পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা। শ্রমিকদের সড়ক অবরোধের ফলে বন্ধ রয়েছে দুরপাল্লারসহ সব ধরণের যান চলাচল। এতে বন্ধ হয়ে গেছে সিলেট-ঢাকা, মৌলভীবাজার-ঢাকা, মৌলভীবাজার-হবিগঞ্জ সহ অন্যান্য সড়কে যান চলাচল। বিপাকে পড়েছেন সাধারণ যাত্রী ও ছুটি কাটাতে শ্রীমঙ্গলে ঘুরতে আসা পর্যটকরা।
শ্রমিক নেতারা জানিয়েছেন, গতকালের বিজিবির হামলার ঘটনার প্রতিবাদে তারা শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজেদের একটি সমাবেশ আহ্বান করেছেন। উপজেলার চৌমোহনা চত্বরে অনুষ্ঠিতব্য এই সমাবেশ থেকে পরবর্তী কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) সাড়ে ৫ টার দিকে উপজেলার পানসী রেস্টুরেন্টে খাবার খেতে আসেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর একজন কর্মকর্তা। এসময় কথাকাটাকাটির জের ধরে স্থানীয় এক পরিবহন শ্রমিক ওই কর্মকর্তাকে মারধর করেন। এতে ওই কর্মকর্তা আহত হন। এ খবর বিজিবি ৯ সেক্টরের সদরদপ্তরে পৌছালে বর্ডার গার্ড সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয় ব্যবসায়ী, পরিবহন শ্রমিক ও সাধারণ মানুষদের মারধর করেন। বিজিবি সদস্যরা নির্বিচারে দোকানপাট ও গাড়ি ভাংচুর করে বলেও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। এসময় শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা বিজিবি সদস্যদের পাল্টা হামলা করলে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
সংঘর্ষের সময় বিজিবি গুলি ছুঁড়ে বলেও জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এতে ছয়জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানান তারা। সংঘর্ষের সময় শতাধিক দোকানপাট ও শতাধিক গাড়ি ভাংচুর করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বিজিবি এই ভাংচুর চালিয়েছে।