সন্ত্রাসী হামলায় নবীগঞ্জে মারাত্মক আহত এনটিভির প্রতিনিধি
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ ডিসেম্বর ২০১৬, ৬:৫৬ অপরাহ্ণ
নবীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ এনটিভির নবীগঞ্জ প্রতিনিধি মুহিবুর রহমান চৌধুরী তছনু সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন। এ সময় হামলাকারীরা তাকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে ও জিআই পাইপ দিয়ে এলোপাতারি ভাবে মারপিট করে। আশংকাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থার অবনতি দেখে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপালে প্রেরন করেন। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে।
এ ঘটনার খবর পেয়ে সাথে সাথে নবীগঞ্জ থানার একদল পুলিশ অভিযান চালায়। ঘটনার সময় স্থানীয় জনতা হামলাকারী আবুল হোসেন (২৫) কে উত্তম মধ্যম দিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। পুলিশের অভিযানের খবর পেয়ে অন্যান্য সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। অভিযান কালে পুলিশ হামলার সময় ব্যবহৃত একটি ট্রাকটর আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় নবীগঞ্জ সাংবাদিক মহলে তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে।
জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাংবাদিক মুহিবুর রহমান চৌধুরী তছনু তার পেশাগত কাজে মোটরসাইকেল যোগে নিজ গ্রাম কুর্শি ইউনিয়নের ফুটারমাটি গ্রাম থেকে মহাসড়কের বিজনার পাড়ে সড়ক দুর্ঘটনার সংবাদ সংগ্রহের কাজে যাওয়ার পথিমধ্যে নবীগঞ্জ-আউশকান্দি সড়কের ফুটারমাটি গ্রামের প্রবেশ মুখে হঠাৎ একটি ট্রাকটর যোগে ৫/৬ জন সন্ত্রাসী তার পথরোধ করে তছনুর ব্যবহৃত মোটরসাইকেলসহ তাকে চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় তছনু ভাগ্যক্রমে রক্ষা পেলে ও কোন কিছু বুজে উঠার আগেই সন্ত্রাসীরা হাতে রামদা ও জিআই পাইপ দিয়ে হামলা চালায় সন্ত্রাসীদের আক্রমনে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এ সময় সন্ত্রাসীরা তার সাইট ব্যাগে থাকা একটি প্যানাসনিক এইস-ডি ক্যামেরা ১টি লেফটপ ১টি ডি এসেলার ক্যামেরা ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় তছনুর আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় একই এলাকার এনাতাবাদ গ্রামের মৃত আব্দুল মতিনের পুত্র আবুল হোসেন (২৫) কে স্থানীয় জনতা আটক করে উত্তম মধ্যম দেয়। ঘটনার খবর পেয়ে সাথে সাথে নবীগঞ্জ থানার এস আই সুজিত চক্রবর্তী একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে আসলে জনতা হামলাকারী আবুল হোসেনকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। অভিযানকালে পুলিশ হামলার কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাকটর আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে লোকজন তছনুকে উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা বেগতিক দেখে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল বাতেন খান বলেন, ঘটনার সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষনিক আমাদের পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনার মুল হোতাকে গ্রেফতার করেছে এবং হামলাকারীদের ব্যবহৃত একটি ট্রাকটর জব্দ করে থানায় নিয়ে আসা হয়। হামলাকারী অন্যান্যদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।