বাবাকে না দেখেই হয়তো ফের বিদেশে পাড়ি জমাতে হবে আরিফ কন্যা নাহিয়াকে
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ ডিসেম্বর ২০১৬, ৩:৩২ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্কঃ বাবা কারাবন্দী সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র (সাময়িক বহিস্কৃত) আরিফুল হক চৌধুরীর মুক্তির প্রত্যাশায় বিদেশ থেকে এসে এখনোও দেখা পাননি বড় মেয়ে সায়কা তাবাসসুম চৌধুরী নাহিয়া। সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আদালতে আরিফের জামিন আদেশ স্থগিত হওয়ায় আটকে গেছে জামিনের মাধ্যমে মুক্তি।
তবে কারামুক্ত বাবার সাথে দেখা করার আশা একেবারে ফিকে হয়ে যায়নি নাহিয়ার জন্য। আগামী ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত তার ছুটি রয়েছে। ২ জানুয়ারি জামিনের বিষয়টির শুনানি। এদিন যদি জামিন আদেশ ফের বহাল হয় আর যদি আরিফ ৬ জানুয়ারির মধ্যে কারামুক্ত হন তবেই মেয়ের সাথে মুক্ত অবস্থায় দেখা হতে পারে বাবার।
সায়কা তাবাসসুম নাহিয়া ইংল্যান্ডের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা করছেন। বাবা সবক’টি মামলায় জামিন পেয়েছেন শুনে ইংল্যান্ড থেকে দুই সপ্তাহের ছুটি নিয়ে গত ১৯ ডিসেম্বর নাহিয়া দেশে এসেছেন। ৬ জানুয়ারি তার ছুটি শেষ হয়ে যাবে।
নতুন করে ছুটি পাওয়ার আশাও ক্ষীণ; ছুটির আবেদন করলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মঞ্জুর করবেনা। কিন্তু দেশে এসে নাহিয়া জানতে পারেন বাবার জামিনের বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে স্থগিত হয়েছে। তাই সহসাই মুক্তি পাচ্ছেন না আরিফ। এমন সংবাদে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন বাবার আদরের বড় মেয়ে নাহিয়া।
ইংল্যান্ড থেকে দেশে ফিরে স্বজনদের সংস্পর্শের মাঝেও বাবার অনুপস্থিতিতে মানসিকভাবে বেশ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। মুক্তভাবে ; এমন শঙ্কাও কাজ করছে তার মাঝে। নাহিয়া দোয়া করছেন ৬ জানুয়ারির আগেই যেনো তার প্রিয় বাবা মুক্তি পান।
আরিফপত্মী শ্যামা হক চৌধুরী বলেন- মেয়ের মন কোনভাবেই ভালো করা যাচ্ছে না। বাবাকে দেখার আশায় নাহিয়াকে বিদেশ থেকে এসেও হতাশ হয়েই ফিরতে হবে হয়তো। এদিকে বাড়িতে তার দাদিও শয্যাশায়ী। বাড়িজুড়ে এক ভয়ার্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। কারোরই মন ভালো নেই। এমনটি বলতে বলতে তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
প্রসঙ্গত, আরিফুল হক চৌধুরী ও জি কে গৌছকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন গত ২০ ডিসেম্বর স্থগিত করেছেন সুপ্রিমকোর্টের চেম্বার আদালত। চেম্বার বিচারপতি মো. নিজামুল হকের আদালত এই আদেশ দেন। আগামী ২ জানুয়ারি বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে আসবে।
আদালতে আরিফ ও গৌছের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা। এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে বোমা হামলা মামলায় আরিফুল হক চৌধুরীকে ও প্রাক্তণ অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া হত্যার ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলায় জি কে গউছকে ৬ মাসের জামিন দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।