শেষ সময়ের প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন নবীগঞ্জের এক ডজন প্রার্থী
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬, ১০:২৭ অপরাহ্ণ
ছনি চৌধুরী, নবীগঞ্জ থেকে: উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনের সদস্য প্রার্থীদের শেষ সময়ের প্রচারণা। নবীগঞ্জ উপজেলার তিনটি ওয়ার্ডে সদস্য পদে একডজন প্রার্থী শেষ সময় নির্ঘুম প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন । ভোট প্রার্থনায় প্রলোভন, কৌশল আর কালো টাকায় প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ রয়েছে অহরহর ।
চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরীকে বেসরকারি ভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। ১৫ জন সদস্য ও ৫ জন সংরক্ষিত সদস্য পদে আগামী ২৮শে ডিসেম্বর জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যচ্ছে। পোস্টার, লিফলেট আর ফেস্টুনে চেয়ে গেছে নবীগঞ্জ উপজেলার শহর থেকে শুরু করে হাট-বাজার পর্যন্ত । ৫টি ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে গঠিত প্রতিটি ওয়ার্ডে নির্বাচিত চেয়ারম্যান, সদস্য, সংরক্ষিত সদস্য, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়র এবং কাউন্সিলরবৃন্দ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। পৌর এলাকা ছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডে মোট ৬৫ জন ভোটার রয়েছেন। ইলেকটোরাল ভোটার (জনপ্রতিনিধি) নিয়ে গঠিত নির্বাচনে উৎসবের আমেজ দেখা দিয়েছে। নির্বাচনে হবিগঞ্জ জেলার ১১০৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরীকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো প্রার্থী না থাকায় রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক সাবিনা আলম তাকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। এ ব্যাপারে জেলা রিটার্নিং অফিসার সাবিনা আলম জানান, ২৮শে ডিসেম্বর জেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সব ধরনের প্রস্তুুতি সম্পন্ন হয়েছে এবং প্রার্থীদের আচরণবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি। নবীগঞ্জ উপজেলায় ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ড নিয়ে সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড গঠিত হয়েছে। তিনটি ওয়ার্ডে এক ডজনের অধিক প্রার্থী শেষ সময়ের প্রচারণায় রয়েছেন । ৪নং ওয়ার্ড: উপজেলার বড় ভাকৈড় (পশ্চিম) বড় ভাকৈড় (পূর্ব) ইনাতগঞ্জ, দীঘলবাক ও আউশকান্দি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এই ওয়ার্ড থেকে মাঠে রয়েছেন, আওয়ামী লীগ নেতা গৌতম কুমার দাশ, গোলাম হোসেন, উপজেলা যুবসংহতির আহ্বায়ক মো. ফুল মিয়া পাঠান (তালা) মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের নিজামুল হক (টিউবওয়েল) সমাজসেবক ফয়ছল আহমদ, জামাল আহমদ চৌধুরী। ৫নং ওয়ার্ড: নবীগঞ্জ পৌরসভা,কুর্শি ইউনিয়ন, করগাঁও, নবীগঞ্জ সদর ও বাউশা ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। ওই ওয়ার্ডে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানসহ ৬৭ জন ভোটার রয়েছেন। ভিআইপি ওয়ার্ড-খ্যাত এলাকা থেকে তুমুল প্রচারণায় ব্যস্ত রয়েছেন, সমাজসেবক শেখ শফিকুজ্জামান শিপন (হাতি) বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. আব্দুল মালিক (তালা), ব্যবসায়ী মো. হেলাল আহমদ (টিউবওয়েল)
সাবেক ইউপি সদস্য আজিজুর রহমান (ফ্যান) মো. আব্দুল মুহিত (উটপাখি)। বিশ্বরোড, হাওড়াঞ্চল ও পাহাড়ি জনপদ খ্যাত ৬নং ওয়ার্ড: দেবপাড়া, গজনাইপুর, কালিয়ারভাঙ্গা ও বাহুবল উপজেলার স্নানঘাট ইউনিয়ন নিয়ে গঠন করা হয়েছে। এখানে বিগত দু-বারের গজনাইপুর ইউপির চেয়ারম্যান আবুল খায়ের গোলাপ (সিএনজি) হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাডভোকেট সুলতান মাহমুদ (টিউবওয়েল) দৈনিক সমকাল নবীগঞ্জ প্রতিনিধি এম এ আহমদ আজাদ (তালা) এবং যুক্তরাজ্য প্রবাসী শেখ মাসুদূর রহমান ভোট প্রার্থনা করছেন। উল্লেখিত তিনটি ওয়ার্ড নিয়ে সংরক্ষিত সদস্য প্রার্থীদের ২নং ওয়ার্ড গঠিত। সংরক্ষিত সদস্য পদে লড়ছেন, নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শিরিন আক্তার (হরিণ) এবং যুক্তরাজ্য প্রবাসী তরুণা বাহার কলি ( দোয়াত-কলম)। একজন মহিলা ভোটারের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমাদের পাশে সব সময় যিনি থাকবেন এবং এলাকার উন্নয়ন করবেন এমন প্রার্থীকেই ভোট দেবো । শেষ সময়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গণ গণ যাচ্ছেন প্রার্থীরা এই নির্বাচনে যেহেতু জনপ্রতিনিধিরাই ভোটার সেখানে বুঝে শুনে নিজেদের জনপ্রতিনিধি ঠিক করবেন ভোটারগন ।