ওসমানীনগরে কলেজ সরকারীকরণ নিয়ে বিভক্তি
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ ডিসেম্বর ২০১৬, ১১:০৬ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কলেজ সরকারী্করণ নিয়ে বিভক্তি দেখা দিয়েছে ওসমানীনগরে। পাশাপাশি এলাকা গোয়ালাবাজার ও তাজপুরে দুটি কলেজের অবস্থান। সদ্য গোয়ালাবাজার মহিলা কলেজ সরকারীকরণের ঘোষনার পর পরই ক্ষোভে ফুঁসে উঠে তাজপুর। পরদিনই কলেজের ছাত্র শিক্ষক নেমে আসেন রাস্তায়। এলাকার জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সাময়িক তারা রাস্তা থেকে সরে আসলেও পরবর্তীতে ঘোষনা করা হয় বিভিন্ন কর্মসুচী। তারই অংশ হিসেবে আজ সোমবার দুপুর ১টায় আন্দোলনকারীরা একটি মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশে মিলিত হন।
সমাবেশে বক্তাদের বক্তব্য স্পষ্ট ছিলো গোয়ালাবাজার কলেজ সরকারীকরন হওয়াতেই তাদের যত ক্ষোভ। তারা বলেন প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী বর্তমান শিক্ষাবান্ধব সরকার প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কলেজকে জাতীয়করণ করার যে নীতিমালা গ্রহন করেছে তার সমস্থ শর্ত তাজপুর ডিগ্রি কলেজের রয়েছে। এখানে তিনটি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু আছে, কলেজের শিক্ষার্থী সংখ্যা দুই হাজার। বিশাল খেলার মাঠ, পুকুরসহ কলেজের নিজস্ব জমি রয়েছে দশ বিঘার অধিক। স্বাধীনতার এক বছর পর প্রতিষ্ঠা হওয়া তাজপুর ডিগ্রি কলেজের রয়েছে বঞ্ছনার ইতিহাস। ফলে জাতীয়করণের প্রক্রিয়া শুরু হলে তাজপুর ডিগ্রি কলেজ সরকারি সুযোগ সুবিধা পাওয়ার আশায় আশান্বিত হয়। এর অন্যতম কারণ হিসেবে ছিল এ কলেজটি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে পুরাতন। তারপরও এ কলেজকে বাদ দিয়ে মন্ত্রণালয় গোয়ালাবাজার আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজকে জাতীয়করণের ঘোষণা দেয়। ফলে কলেজের শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী সহ অভিভাভবক মহলে নেমে আসে চরম হতাশা। উপজেলা সদর থেকে বহু দূরে অবস্থিত গোয়ালাবাজার আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজকে জাতীয়করণের ঘোষণা দেওয়াকে কোন ভাবেই মেনে নিতে পারেন নি তারা। ফলে ক্ষোভের আগুন থেকেই তারা নেমে আসেন রাস্তায়। তাদের দাবি যে ভাবেই হউক অবিলম্বে তাজপুর ডিগ্রি কলেজকে জাতীয়করণের ঘোষণা দিতে হবে।
অবস্থান কর্মসুচীতে বক্তারা তাদের দাবি মেনে নেয়া না হলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধসহ বিভিন্ন বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মনু মিয়া, ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক মো. খসরুজ্জামান, দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক প্রাণকান্ত দাস ও ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক আবুল খায়ের। এ সময় উপ্সহিত ছিলেন কলেজের শিক্ষক আশোতোশ রঞ্জন দাশ, অর্পনা ভট্ট্যাচার্য, মরিয়ম আক্তার, আতাউর রহমান সাদি, কামরুন নাহার, সুষেণ দাশ, সুমিত সেন, প্রানেশ দাশ সহ আরও অনেকে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জুবায়ের, রাসেল, বাপ্পু দেব, শিম্মা, আলী টিটু, সেলিম প্রমুখ।
সমাবেশে ‘এক দফা এক দাবি, তাজপুর কলেজ সরকারি’- এমন দাবিতে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে কলেজের শিক্ষার্থীরা। শেষে আন্দোলনকারীরা প্রধানমন্ত্রী বরাবরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।