আজো সরকারীকরণ হয়নি ওসমানীনগরের শতবর্ষী স্কুল
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬, ১০:৫৫ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
শতবর্ষের অধিককাল কেটে গেলেও আজও সরকারীকরণ করা হয়নি ওসমানীনগরের সবচেয়ে প্রাচীন বিদ্যাপিঠ বেগমপুর শরৎসুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয়। মহাকবি শরৎচন্দ্র চৌধুরী ১৮৮৬ সালে এ অঞ্চলের শিক্ষার প্রসার ঘটাতে বিদ্যাপিঠটি প্রতিষ্টা করেন। প্রতিষ্টার পর তিনি নিজে কয়েকবছর প্রধান শিক্ষকের দ্বায়িত্ব পালন করেছিলেন।
জানা যায়, পরবর্তীকালে যে কজন প্রধান শিক্ষক ছিলেন তারা হলেন, দেবেন্দ্র কুমার চৌধুরী, আব্দুল জব্বার, আব্দুর রৌফ, নগেন্দ্র কুমার চৌধুরী, মহিউদ্দিন, আইয়ুব আলী, কামরুল ইসলাম, রামেন্দ্র কুমার দত্ত, মুসলেহ উদ্দিন খাঁন, সত্য রঞ্জন দেব, সফিক উদ্দিন আহমেদ, ও ২০০৯ সাল থকে বর্তমান প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম টানা ৭ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
সময়ের সিঁড়ি ভেঙ্গে দীর্ঘক্ষণের ব্যবধানে এ বিদ্যালয়ের ১৩০ বছর কেটে গেছে নীরবে-নিভৃতে। রজত জয়ন্তি, জুবিলী জয়ন্তি, হীরক জয়ন্তী কেটে গেছে ইতিমধ্যে। এ চারটি ক্ষণ যে কোন প্রতিষ্টার জন্য অবশ্যই আনন্দের। উৎসব আনুষ্টানিকতা নিয়ে এসব মুহূর্ত বরণ করা হয়ে থাকে। প্রকাশিত হয় স্মরণিকা। কিন্তু এর কোনটাই এই ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়ের ভাগ্যে জুটেনি। এরপরও থেমে থাকেনি এ শিক্ষাঙ্গনের কার্যক্রম। উপহার দিয়ে গেছে অনেক কৃতি ছাত্র। যারা দেশ ও বিদেশে সুনাম অর্জন করেছেন। তার ধারাবাহিকতা এখনও অব্যাহত আছে। এসএসসির ফলাফলে গত কয়েক যুগ ধরে স্কুলটি ভালো করে আসছে। গত বছরের এসএসসির পাশের হার ঈর্ষনীয় । ৮৭ ভাগ ছিলো পাশের হার। সার্বিক দিক বিবেচনা করে এলাকার সর্বস্থরের মানুষ ও দেশ বিদেশে অবস্থানরত প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের দাবী সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্টানকে সরকারীকরনের সকল ব্যবস্থা করবেন।
প্রাচীনতম এই শিক্ষা প্রতিষ্টানে বর্তমানে শিক্ষার্থী সংখ্যা ৫৩৫ জন। শিক্ষক ও শিক্ষিকার সংখ্যা ১০ ও তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারীর সংখ্যা ৪ জন। ৬ষ্ট শ্রেনী থেকে ১০ শ্রেনী পর্যন্ত উপবৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৯০ জন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ নুরুল ইসলাম সুরমানিউজ টুয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, সিলেটের রাজা জিসি ও আমাদের এই বিদ্যালয়টি একই বছর ১৮৮৬ সালে প্রতিষ্টা লাভ করে।আমাদের সবার দাবী সিলেটের সবচেয়ে প্রাচীন এই বিদ্যালয়টি সরকারীকরণ করা হবে।