আমারে একটু লুকায়া-লুকায়া কাঁদতে দেন: নির্মলেন্দু গুন
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ নভেম্বর ২০১৬, ৫:৩৩ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দু পল্লীতে চালানো তা-বের ঘটনায় কবি নির্মলেন্দু গুন তার ফেসবুক পেইজ লিখেছেন, ১৯৭১ সালে তো আমরা মালাউনরা ভারতেই চলে গিয়েছিলাম। পাকবাহিনীও তাদের স্থানীয় দোসরদের অত্যাচারে জন্মভূমিতে টিকতে না পেরে গিয়েছিলাম-কিছুটা নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য, কিছুটা মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার জন্য। ভারত আমাদের খুব বেশিদিন থাকতে দিলো না। নয় মাসের মাথায়, ১৬ ডিসম্বরে পাকি মুচুয়ার দল মিত্রবাহিনীর কাছে (মতান্তরে ভারতের কাছে) রমনা রেসকোর্স ময়দানে আত্মসমর্পণ করে বসলো। নির্মলেন্দু গুন বলেন, আর সঙ্গে সঙ্গে শরণার্থী শিবিরগুলি বন্ধ করে দিয়ে ভারত ভদ্রভাবে আমাদের সদ্যোজাত বাংলাদেশে ফেরত পাঠায়ে দিলো। মানে ঢ়ঁংয নধপশ করলো। সবাই যে ধাক্কা খাইয়া দেশত ফিইরা আইলো, তা কিন্তু না। অনেকেই আমার মতো, আপনের মতো মহানন্দে নাচতে নাচতে ফিইরা আইলো তার সাত পুরুষ ( মতান্তরে সাতশ’ পুরুষ)-এর জন্মভিটায়। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারী আওয়ামী লীগও অন্তত মুখে মানা করলো না। বললো-আয়, আয়। ভোটের সুময় তোরারে কামে লাগবো। তয় দেহিস আবার ইলেকশনে দাঁড়াইচ না কুনু। তোরা দরকার পড়লে ভোট দিবি, আর মাঝেমইধ্যে আওয়ামীলীগের পক্ষে মিছিল করবি, কবিতা, গান, নাটক এইসব লেখবি। আয়। আইয়া পড়। আমরা ‘জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী”তে হাসতে হাসতে, লাফাইতে লাফাইতে ফিইরা আইলাম। এর পরের কাহিনি, যে কাহিনির শেষ নাই, তা আপনে বলেন। আমারে একটু লুকায়া-লুকায়া কাঁদতে দেন। আমি চাই না কবির চোখের জল সাধারণ মানুষে দেখুক।