বাবাকে মাঝে মাঝে ‘আঙ্কেল’ বলে ডাকছেন খাদিজা, মাকে ডাকছেন ‘আন্টি’
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ অক্টোবর ২০১৬, ১:১১ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
সিলেটে বখাটে বদরুলের চাপাতির কোপে গুরুতর আহত হয়ে স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খাদিজা বেগম নার্গিস তার বাবা মাশুক মিয়াকে কখনো ‘আব্বু’ বলে ডাকছেন, আবার কখনো ডাকছেন ‘আঙ্কেল’ বলে। মাকেও কখনো চিনতে পারছেন, কখনো পারছেন না। মাকে মাঝে মধ্যে ‘আন্টি’ ডাকেন। কখনো কখনো একা বিড়বিড় করেন। কিন্তু কী বলছেন, তা ভালো করে বোঝা যায় না।
শনিবার (২৯ অক্টোবর) এসব কথা জানান খাদিজার বাবা মাশুক মিয়া।
তিনি জানান, খাদিজা এখন অল্প অল্প খাচ্ছেন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে খাদিজার বাঁ হাতে অস্ত্রোপচার করা হবে। এর আগে ১৭ অক্টোবর তাঁর ডান হাতে অস্ত্রোপচার হয়েছে।
মাশুক মিয়া আরো জানান, চিকিৎসকেরা বলেছেন, খাদিজার স্মৃতিশক্তি পুরোপুরি ফিরে আসতে আরও সময় লাগবে। খাদিজা পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে চিকিৎসকেরা আশাবাদী।
প্রসঙ্গত, গত ৩ অক্টোবর বিকেলে সিলেট এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার পর সরকারি মহিলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের (ডিগ্রি) ছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিসকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে আহত করে শাবিপ্রবির ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলম। মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়া খাদিজাকে প্রথমে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর অচেতন অবস্থাতেই খাদিজাকে ওই রাতে তাঁর স্বজনরা স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যান। সংকটজনক অবস্থাতে সেখানে খাদিজার মাথায় দ্বিতীয় দফা অস্ত্রোপচার হয়। অস্ত্রোপচারের ৯৬ ঘণ্টা পর চিকিৎসকরা জানান, খাদিজার আর জীবনসংশয় নেই। গত বৃহস্পতিবার তাঁকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।
ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলম কারাগারে রয়েছেন। গত রোববার (২৩ অক্টোবর) শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়।
সূত্রঃ প্রথম আলো