যুক্তরাজ্য সেচ্ছাসেবক দলের এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্টিত
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ অক্টোবর ২০১৬, ১২:৫৩ পূর্বাহ্ণ
লন্ডন অফিস: স্বেচ্ছাসেবকদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সংগ্রামী সভাপতি ও বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল,ফ্যাসিষ্ট জুলুম বাজ অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে যেন এক জলন্ত অগ্নিপিন্ড। হাবিব-উন-নবী খান সোহেল এর বিরুদ্ধে সরকারের ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে যুক্তরাজ্য সেচ্ছাসেবক দল এক বিশাল প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে পূর্ব লন্ডনের ব্লু মুন মিডিয়া সেন্টারে। প্রতিবাদ সভার শুরুতে কোরআন তেলোয়াত করেন আতাউর রহমান মিফতাহ সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নাসির আহমেদ শাহীন এর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারী মোঃ আবুল হোসেন এর পরিচালনায় প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথী ছিলেন এম এ মালেক সভাপতি যুক্তরাজ্য বিএনপি – প্রধান বক্তা ছিলেন কয়ছর এম আহমেদ সেক্রেটারি যুক্তরাজ্য বিএনপি ৷ বিশেষে অতিথী ছিলেন বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুল হামিদ চৌধুরী সেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পারভেজ মল্লিক, যুক্তরাজ্য বিএনপির সহসভাপতি ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের অন্যতম সদস্য আক্তার হোসেন নাসিম আহমেদ চৌধুরী যুগ্ন সম্পাদক তাজ উদদীন সহ বিএনপির অন্যতম নেতা সাদিক মিয়া, মাওলানা শামীম আহমেদ আন্তর্জাতিক সম্পাদক জাতীয়তা বাদী ওলামাদল কেন্দ্রীয় কমিটি, ৷উক্ত সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ সভাপতি মিসবাহ বি এস চৌধুরী,সহ সভাপতি শরীফুল ইসলাম জিয়াউল ইসলাম দিপু, আলিম আল রাজি.মাহবুবুল আলম লাহীন আতাউর রহমান মিফতাহ,মুস্তাফিজুর রহমান ,ডালিয়া লাকুরিয়া,শাহজামাল,যুগম সাধারন সম্পাদক আজিম উদ্দীন , কামল মিয়া ,মো: সোলায়মান খাঁন, রেদোয়ান আহমেদ ,অলিউর রহমান ফাহিম,ফাইজুল ইসলাম শ্যামল,প্রচার সম্পাদক জুল আফরোজ মজুমদার , দপ্তর সম্পাদক শাহরিয়ার রাসেল ,সহকোষাদক্ষ শেখ সাদেক আহমেদ, আইন সম্পাদক মো:তাজুল আলম কোরাইশি পাঠাগার সম্পাদক হারুন অর রশিদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান , মিজানুর রহমান, সহ – প্রকাশনা সম্পাদক ফিরোজ আলম, আরো উপস্তিত ছিলেন লাহিন মোহাম্মাদ মোস্তাফিজুর রহমান ফেরদৌস, রিদওয়ান আহমেদ ,জিয়াউর রহমান জিয়া,জাহাঙ্গীর আলম শিমু,হারুন অর এ কে এম সিদ্দিকুর রহমান,রশিদ,মিজানুর রহমান,মো: মোস্তাফিজুর রহমান, মো: এমদাদুল হক,জাহেদ আহমেদ তালুকদার,শহিদুল ইসলাম মামুন .তাজুল ইসলাম.আনিসুর রহমান সাদিক মিয়া .আকরাম.তুফায়েল বাছিত তপু .শেখ তপু ,সরফরাজ সুপু .আবদুল হামিদ খান হেভেন, আসাদুজজামান আক্তার ,আব্দুর রহিম, সোয়ালেহীন করিম,আবদুল বাছিত ,লাকি আহমেদ,আনহার মিয়া,শাহাদাত খান,মো: আজিবর রহমান,মো: ছমির আলী,মো: বুদরুল আমিন আকমল,ফজল আহমেদ,মো:বদরুল আহমদ,মো: ইকবাল হোসেন,মাহাবুবুল আলম,ফিরোজ আলোম,মোহাম্মদ ওমর গনি,মো: মমিন মিয়া,মনসুর হোসাইন,ফুয়াদ বিন ইব্রাহীম ভূইয়া,মো: রেজাউল করিম,এম লুৎফর রহমান,খাইরুল হোসাইন চৌধুরী,কবির আহমেদ, আকলুছ মিয়া , এরশাদ মিয়া , কবির মিয়া , দ্বারা মিয়া .শাহীন মিয়া , হায়দার আলী , সেবুল মিয়া , আলা উদ্দিন প্রমূখ ৷ এ ছাড়া অতিথি বৃন্দদের মধ্য উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহ সভাপতি মেসবাউল ইসলাম বাবু ইতালি বিএনপি,এমদাদ হোসেন খান সভাপতি মিলান বিএনপি,দুদু মিয়া শিকদার, ব্যারিস্টার এম এ আরিফিন আশরাফ,আলিফ মিয়া,আলম, জহির,ফজল হোসাইন,লাহিন আহমেদ,শাহীন মিয়া,মো:মাকসুদুর রহমান,যুক্তরাজ্য বিএপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আবু নাসের সেখ, সাইফুল ইসলাম মিরাজ, ইমতিয়াজ এনাম তানিম, আতিকুর রহমান আতিক,মুরাদ,ফুয়াদ ভূইয়া,রিজাউল করিম, মমিন মিয়া,। হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের বড় মেয়ে জান্নাতুল ইলমে সূচনা টেলি কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন তিনি বলেন আমার বাবা কোন অন্যায় করেনি তার দোষ তিনি শুধু জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতি করে এই জন্য সরকার আমার বাবা কে একের পর এক মৃথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন আমার বাবা কে আমরা বছরে পাঁচবার ও বাসায় দেখতে পান না সব সময় তাকে পুলিশি হয়রানির উপরে রাখা হয় এ সময় হলের মধ্য থাকা কয়েক শত নেতা কর্মী বাক রুদ্ধ হয়ে যান। অনেক নেতা কর্মীর চোখে পানি চলে আসে কেহ যেন আবেগ ধরে রাখতে পারছেন না। তাদের পরিবার সব সময় আতংকের মধ্য থাকে তার পাশে একমাত্র তার মা ও ছোট বোন অপরাজিতা খান মাটি। এর পরে ও সূচনা বলেন তার বাবা ন্যায় বিচার পাবেন বলে বিস্বাস করে এবং যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা কর্মী ও উপস্থিত সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানান। প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন হাবিব-উন-নবী খান শুধু একজন ব্যক্তি নয় তিনি হলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা বাস্তবায়নের এক জন পরিক্ষিত সৈনিক মৃথ্যা মামলা হামলা করে তাকে কোনদিন দমিয়ে রাখা যাবেনা তিনি অতি দ্রুত জামিন নিয়ে বেরিয়ে আসবে, তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল তাই তিনি নিজ থেকেই স-শরীরে কোটে এসে হাজির হন। প্রত্যেকেই মনে করেন তিনি ন্যায় বিচার পাবেন। তিনি কোন অন্যায়, অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে জড়িত নন এবং ফ্যাসিবাদী ও ক্ষমতালোভী সরকার কর্তৃক নিপিড়ীত, নির্যাতিত হয়ে, বহু কণ্ঠাকাকীর্ণ পথ অতিক্রম করে দৃঢ়চেতা মনোভাব ও গতিশীল নেতৃত্ব নিয়ে এগিয়ে জাবেন বলে বক্তারা মনে করেন।ফ্যাসিবাদ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার সিদ্ধান্ত নিবেন। বক্তারা বলেন হাবিব উন নবী খানের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে মৃথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক মামলার গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করে অবৈধ সরকার শুধু রাজনৈতিক ভাবে প্রভাব বিস্তার করে ফায়দা নেওয়া চেস্টা করে যাচ্ছে সাধারণ মানুষ আজ স্থম্ভিত। শুধু স্থম্ভিত ই নয়, মানুষ রীতিমত হতাশ। যে হাজার হাজার বিএনপির নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে মৃথ্যা মামলা দিয়ে একের পর এক হয়রানি করে যাচ্ছে যা সাধারন মানুষ মনে করে এটা একটা সৈরাচারী মনোভাব ও মাবতা বিরোধী কাজ। বক্তারা আরো বলেন মৃথ্যা মামলা হামলা করে বিএনপির নেতা কর্মীদের মনোবল নষ্ট করা যাবে না দেশে এবং বিদেশে অবস্থানরত সকলেই ঐক্যবদ্ধ ভাবে জিয়া পরিবারের পাশে আছে এবং থাকবে। বক্তারা বলেন জিয়া পরিবার মানেই হলো, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদের প্রবর্তন, স্বাধীনতার ঘোষণা, রণাঙ্গণে যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত সার্বভৌম বাংলাদেশ, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, এখনও আবার গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া। এটাই আজ দিনের আলোর মত পরিষ্কার। এটা-ই সত্য। তাই আজ বিএনপি এবং জিয়া পরিবারের জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়েই, বিএনপি এবং জিয়া পরিবার-কে নিশ্চিহ্ন করার অভিপ্রায়ে, বিভিন্ন হীন চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে আজকের ফ্যাসিবাদী সরকার। কিন্তু ইতিহাস বলে, ক্ষমতা লিপ্সু কুচক্রী মহলদের চক্রান্ত কখনই সফল হয় না। চক্রান্ত কারীদের পরাজয় অনিবার্য এবং সত্যের বিজয় হবে-ই হবে। বিএনপির সিনিয়র নেতারা বলেন এই অনির্বাচিত সরকারের পায়ে নীচে মাটি নেই তাদের সাথে দেশের কোন জনগন নেই তারা শুধু পুলিশ দিয়ে ভয় ভীতি দেখিয়ে, মামলা ,হামলা গুম, খুন করে টিকে আছে এ সব করে বেশী দিন টিকে থাকা যায় না জনগনের বিজয় হবেই। সেই সময় খুবই সন্নিকটে।