‘সিলেটের তামিম চৌধুরীই ছিল নব্য জেএমবির প্রধান’
প্রকাশিত হয়েছে : ১:০১:৪৯,অপরাহ্ন ১১ অক্টোবর ২০১৬
সুরমা নিউজ:
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহিদুল হক বলেছেন, তামিম চৌধুরীই ছিল বাংলাদেশে নব্য জেএমবির প্রধান। তিনি নারায়ণগঞ্জে পুলিশের অভিযানে মারা গেছেন। এ ছাড়া সারা দেশে জঙ্গিবিরোধী অভিযান আমাদের অব্যাহত থাকবে বলেও ঘোষণা দেন আইজিপি।
তামিম চৌধুরীর গ্রামের বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজারে।
সোমবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার তীর্থস্থান লাঙ্গলবন্দের রাজঘাটে পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন আইজিপি। এর আগে দুপুরে সোনারগাঁও উপজেলার ভাটি বন্দর গ্রামে পারিবারিক এক অনুষ্ঠানে অংশ নেন শহিদুল হক।
পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকরা আইজিপিকে নানা প্রশ্ন করেন। এ সময় জঙ্গিদের সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ‘রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা তো দেখি না। আমরা দেখি জঙ্গিরা নিজেরাই সেলফ মোটিভেটেড। তারা বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়া, ফেসবুক, ওয়েবসাইট এগুলি যে ধরনের প্রচারণা করে, অপপ্রচার- ধর্মের নামে বিকৃত ব্যাখ্যা, খণ্ডিত ব্যাখ্যা – ওগুলো দ্বারাই ম্যাক্সিমাম তাঁরা উদ্বুদ্ধ হয়েছে।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে শহীদুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রধান কে বলতে পারব না। তবে তামিম চৌধুরী, আমাদের জানামতে তামিম চৌধুরীই ছিল নব্য জেএমবির প্রধান। সে নারায়ণগঞ্জে পুলিশের অভিযানে মারা গেছে।’
কানাডায় বেড়ে ওঠা তামিম আহমেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশে জঙ্গিদের নতুন ধারায় তৎপরতার নেপথ্য ব্যাক্তি হিসেবে চিহ্নিত করেছিল পুলিশ, সে নারায়ণগঞ্জ অভিযানে নিহত হয়।
হলি আর্টিজান বেকারিতে নজিরবিহীন হামলায় ১৭ বিদেশিসহ ২২ জনকে হত্যার পর মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে এই তামিমকেই চিহ্নিত করেছিল পুলিশ।
গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলায় ঘরছাড়া তরুণ-যুবকদের জড়িত থাকার তথ্য প্রকাশের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিখোঁজ ১০ জনের যে প্রথম তালিকা দিয়েছিল, তাতে সিলেটের তামিমের নাম আসে।
এর আগে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস বাংলাদেশে দলের শাখাপ্রধান হিসেবে যে আবু ইব্রাহিম আল হানিফের নাম ঘোষণা করেছিল, তাকে তামিম বলেই অনেকে মনে করছিলেন।
গুলশান হামলার পরই তামিমের নামটি ব্যাপক আকারে আলোচনায় আসে।
তামিম সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের বড়গ্রামের প্রয়াত আব্দুল মজিদ চৌধুরীর নাতি। মজিদ চৌধুরী একাত্তরে শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন বলে স্থানীয়দের তথ্য।
তামিমের বাবা শফি আহমদ জাহাজে চাকরি করতেন। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে তিনি সপরিবারে কানাডায় পাড়ি জমান। কানাডার উইন্ডসরে থাকার সুবাদে ৩০ বছর বয়সী তামিমের বেড়ে ওঠাও সেখানে।