ওসমানীনগরে দুই ছাত্রনেতার ৫পদ !
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১২:৫৯ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
দলে প্রভাবশালী নেতাদের একাধিক পদ-পদবী দখলে রাখার অচলায়তন ভাঙতে পারছে না বিএনপি। শুধুমাত্র মূল দলেই নয়, ছাত্রদল, যুবদল, শ্রমিক দল, স্বেচ্ছাসেবক দল সহ প্রতিটি অঙ্গ সংগঠনে একাধিক পদ দখলকারী নেতৃবৃন্দ রয়েছেন। বছরের পর বছর ধরে চলছে। এলোমেলো দশায় কেন্দ্র থেকে মাঠ। কেন্দ্রের নেতা মানেই তার দখলে একাধিক দলীয় পদ। তিনি জেলা কমিটির নেতা আবার কেন্দ্রেরও। আবার জেলা কমিটির নেতারাও আছেন উপজেলা পর্যায়ের নেতৃত্বে। বহুকাল থেকেই অধিকাংশ নেতাই আঁকড়ে আছেন দুই এর অধিক বিভিন্ন স্তরের পদ।
ওসমানীনগর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রায়হান আহমদ। তিনি আবার সিলেট জেলা ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদকও। এক সাথে দুই পদে আসীন হয়ে আছেন। আরেক নেতা মাসুদুর রহমান মাসুদ। সিলেট জেলা ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক। আছেন ওসমানীনগর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহব্বায়ক ও মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মদলের আহব্বায়ক পদে। অর্থাৎ দুই নেতায় ৫পদ কুক্ষিগত।
তাদের পদের বিষয়ে উপজেলার অনেক নেতাই পক্ষে বিপক্ষে কথা বলছেন। বিগত দিনের আন্দোলনে সম্পৃক্ততাকে গুরুত্ব না দিয়ে লবিংকেই প্রাধান্য দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেউ কেউ। আবার অনেকে বলছেন জেলা কমিটিতে তাদের এই অবস্থান বিগত আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে থাকা ও তৃণমূলের সাথে সম্পর্কের ফলস্বরূপ। তাছাড়া বিগত দিনে উপজেলার দলীয় নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করার চেষ্টা করেছিলেন তারা। জেলা কমিটিতে স্থান পাওয়া এই দুই নেতাকে নিয়ে উপজেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলে চলছে কানাঘুষা। এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ির প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চলছে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার হীন এ প্রতিযোগিতা।
উপজেলা ছাত্রদলের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, জেলা কমিটি থেকে দুই নেতাকে পদত্যাগ করার জন্য ইলিয়াস পত্নী লুনা
নির্দেশ দিয়েছেন। তবে তাদের পদত্যাগ করাকে মানতেই পারছেন উপজেলার দ্বায়িত্বশীল বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দরা। বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের অনেক নেতাই তাদেরকে উপজেলার রাজনীতিতে সক্রিয় রাখার পক্ষে জোরালো অবস্থানে আছেন। এ বিষয়ে তারা রুশদীর লুনাকে অনুরোধ করেছেন বলে জানা গেছে।
পদ নিয়ে জানতে তাদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা সুরমানিউজ টোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, আমাদের প্রিয় নেতা এম ইলিয়াস আলী গুম পরবর্তী বিগত আন্দোলন সংগ্রামে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সক্রিয় ভুমিকা পালন করেছিলাম। দলের এই দুঃসময়ে যখন পদধারী নেতারা ছিলেন আত্নগোপনে ঠিক তখন আমরা তৃণমূল কর্মীদের নিয়ে রাজপথে ছিলাম। ওসমানীনগর উপজেলা ছাত্রদলকে সুসংগঠিত করার পাশাপাশি জেলা পর্যায়েও ছিলাম সক্রিয়। এসব সম্পর্কে অবগত আছেন প্রিয় নেতা ইলিয়াস আলীর সহধর্মিণী বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য তাহসিনা রুশদীর লুনা ও জেলার নেতৃবৃন্দ।
এক প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, তৃণমূলকে নিয়ে উপজেলা ছাত্রদলকে সংগঠিত করার জন্য এবং আগামীতে একটি আন্দোলনমুখী কমিটি গঠনের লক্ষ্যে বেগম ইলিয়াস আমাদের উপজেলা পর্যায়ে দ্বায়িত্ব দেন। ৫জানুয়ারী নির্বাচন পরবর্তী আন্দোলনে আমরা উপজেলার পাশাপাশি জেলা ও মহানগর পর্যায়ে দলের দুর্দিনে সক্রিয় কর্মী ছিলাম। তাছাড়া জেলায় আমাদের অবস্থান সহযোগী হিসেবে।