রাজনগরে আ.লীগ নেতাকে মারধর, গ্রেফতার-৫
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ আগস্ট ২০১৬, ৩:১৭ অপরাহ্ণ
রাজনগর প্রতিনিধি :
মৌলভীবাজারের রাজনগরে আওয়ামী লীগের উপদলীয় কোন্দলের জেরে ফতেহপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাখাল চন্দ্র দাশকে মারধর করা হয়েছে। এ সময় তার মোটরসাইকেল নগদ টাকাও ছিনিয়ে নেয়া হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ মঙ্গলবার ৫ জনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২০ শে আগষ্ট উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের একাংশের উদ্যোগের বিদায়ী চেয়ারম্যান মতিউর রহমান লয়লুছকে বিদায় সংবর্ধনা দেয় ইউপি কার্যালয়ের সামনে। এ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের অনুমোদিত কমিটি না থাকায় অনুষ্ঠানের দাওয়াতপত্রে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে রাখাল চন্দ্র দাস স্বাক্ষর করেন। ওই অনুষ্ঠানে মৌলভীবাজার-৩ আসনের এমপি সৈয়দা সায়রা মহসিন প্রধান অতিথি ছিলেন। বিদায় সংবর্ধনায় নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাশকে নিমন্ত্রণ করা হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। এদিকে অনুষ্ঠানে আগত অতিথি ও আয়োজকদের ইউপি কার্যালয় ব্যবহার করতে দেয়া হয়নি। এনিয়ে এমপি সৈয়দা সায়রা মহিসন তার বক্তব্যে ক্ষোভ ঝাড়েন। বক্তব্যে তিনি জনগণের প্রতিনিধি হওয়ার পরও ‘ইউপি কর্তৃপক্ষ’ তাঁকে সম্মান দেখায়নি বলে তিনি মন্তব্য করেন। আগত অতিথিরাও অনুরুপ বক্তব্য রাখেন। এ নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাংশ অনুষ্ঠানের আয়োজকদের ওপর ক্ষুব্ধ ছিল।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার রাত ১০ টারসময় তিনি বাড়ি যাওয়ার পথে স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী যুবক তার ওপর হামলা চালায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। এব্যাপারে রাখাল চন্দ্র দাশ বাদি হয়ে রাজনগর থানায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন। পুলিশ এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগেমিনার হোসেন (২১), শফাত আলী (২২), হাফিজুর রহমান (২৪), শামিম আহমদ (২৫) ও সুজেল মিয়া (২২)। প্রথম চাজনের বাড়ি ওই ইউনিয়নের গবিন্দপুর ও সুজেলের বাড়ি ছোয়াবালী গ্রামে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক দোস্ত মোহাম্মদ বলেন, ৫ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। নির্বাচনী জেরে তাকে মারধর করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।