বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ বিস্তারের নীল নকশা !
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ আগস্ট ২০১৬, ২:০৫ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক :
আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনে অর্থ সাহায্যকারী একাধিক এনজিও বাংলাদেশকে টার্গেট করে অগ্রসর হচ্ছে। তারা একাধিক বেসরকারী বিশ্বদ্যিালয়ে কোটি কোটি টাকা অনুদানের মাধ্যমে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ বিস্তারের নীল নকশাই কি বাস্তবায়নের অপচেষ্টা চালাচ্ছে? ঢাকার মানারাত ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামসহ বেশ ক’টি বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক সংস্থাগুলো অনুদান দিচ্ছে। উল্লেখিত দুটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে সরাসরি জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ আছে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন জরুরী ভিত্তিতে এসব বিষয় খতিয়ে দেখা উচিত।
এ দুটি সংস্থার মধ্যে একটি হচ্ছে কুয়েত ভিত্তিক, নাম যাকাত সংস্থা অপরটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের এনজিও শারজাহ চ্যারিটি হাউস ফাউন্ডেশন। এ দুটি প্রতিষ্ঠানকে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। বিশেষত ইসলামী ব্রাদারহুডের পেছনে অর্থ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে প্রতিষ্ঠান দুটির বিরুদ্ধে। এ দুটি প্রতিষ্ঠান সরাসরি কোনো সন্ত্রাসীকে অর্থ দেয় না। তারা জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ বিস্তৃতকারী একাধিক সংস্থাকে অর্থ দিয়ে থাকে যারা সন্ত্রাসীদের পেছনে ও সন্ত্রাসী কাজে অর্থ ব্যয় করে থাকে। যাকাত হাউস ২০১০ সালে রিভাইভাল অব ইসলামিক হেরিটেজ সোসাইটিকে (আরআইএইচএস) দেড় মিলিয়ন ডলার অনুমোদন দিয়েছে। মার্কিন অর্থ দপ্তরের ২০০৮ সালের ১৩ জুনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আল-কায়েদা ও বিশ্বব্যাপী এর সহযোগী সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে অর্থ দিয়ে থাকে আরআইএইচএস।
বাংলাদেশের আইআইইউসি কুয়েতভিত্তিক সাহায্য সংস্থা যাকাত হাউসের কাছ থেকে ২০০৮ সালে পেয়েছে ৯ হাজার ৯১৬ ডলার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের এনজিও শারজাহ চ্যারিটি হাউস ফাউন্ডেশন থেকে ৯ লাখ ৬০ হাজার ৮১৬ মার্কিন ডলার। এছাড়াও মানারাত ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও একাধিক বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক এসব সংগঠনের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত আছে। ফলে এরা স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে কোমলমতি ছাত্রদের ব্রেনওয়াশ করে জঙ্গিবাদের দীক্ষায় দীক্ষিত করছে। সরকারকে পাশ কাটিয়ে গোপনে এহেন অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
গত সোমবার বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউিজিসির একটি প্রতিনিধি দল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি চট্টগ্রামে আকস্মিক ভিজিট করে। আইআইইউসি সরকারের কোনো নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করে নিজেদের নিয়ম অনুযায়ী সবকিছু পরিচালনা করছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশের তোয়াক্কা না করে তারা চট্টগ্রামের বিভিন্নস্থানে ৫ টি ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে বলেও অভিযোগ আছে।
একটি গোয়েন্দা সংস্থা আইআইইউসির বিরুদ্ধে তদন্ত শেষে একটি প্রতিবেদন তৈরি করছে। শিগগিরই তারা তদন্ত প্রতিবেদনটি প্রধানমন্ত্রীর দফতরে দাখিল করা হবে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন গোয়েন্দা সংস্থার পদস্থ কর্মকর্তা বিষয়টি স্বীকার করেছেন।-আমাদের সময়।