২১ আগস্ট সুপরিকল্পিত ভাবে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিল : ফ্রান্স আওয়ামীলীগ
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ আগস্ট ২০১৬, ১০:০০ অপরাহ্ণ
১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যার মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাকে আবার পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ করে রাখার অপকৌশল নিয়েছিল স্বাধীনতা বিরোধীরা। তাদের দোসর’রা, ২১ শে আগস্ট ২০০৪ সালে আবারো পরিকল্পিতভাবে দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে হত্যার প্রচেষ্টা করেছিল । বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতাকর্মীরা সেদিন তাদের প্রিয় নেত্রীকে বাঁচাতে জীবন বাজী রেখেছিল। অনেকেই জীবন দিয়ে রক্ষা করেছিল জননেত্রীকে। আমরা ২১ আগস্টের সকল হত্যা কান্ডের বিচার দাবী করি। গত কাল ফ্রান্স আওয়ামীলীগ আয়োজিত ২১ শে আগস্ট নিহত শহীদদের স্মরন সভা ও দোয়া মাহফিলে বক্তারা উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।ফ্রান্সে রাজধানী প্যারিসের একটি হলে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্বে করেন ফ্রান্স আওয়ামীলীগের সভাপতি মহসিন উদ্দিন খান লিটন, সাধারন সম্পাদক দিলওয়ার হোসেন কয়েছের পরিচালনায় স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন সহ সভাপতি মঞ্জুরুল হাসান সেলিম,সোনাম উদ্দিন খালিক,আকরাম খান, জসিম উদ্দিন ফারুক, আশরাফুল ইসলাম, সেলিম ওয়াদা সিলু, হাসান সিরাজ, কিশোর কুমার বিশ্বাস, মিজানুর রহমান সরকার, ফয়সল উদ্দিন, ছাহিদুর রহমান, আসাদুজ্জামান সুমন, শেখ মস্তফা, অমর ফারুক, সায়েক ইবনে হোসাইন, বেলাল আহমদ, জসিম উদ্দিন, রাসেল খান,আক্কাস আলী,মাসুদ পাঠান,আসলাম উদ্দিন,ছাত্রলীগ সভাপতি আসরাফুর রহমান,ছাত্রলীগ নেতা হাফিজুর রহমান রাহাত, সেলিমআল দীন প্রমুখ। অনুষ্টানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন ছালেহ আহমদ ও গীতা পাঠ করেন প্রকাশ কিশোর । সভায় শহিদদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন।
সভাপতি মহসিন উদ্দিন খান লিটন বলেন, শেখ হাসিনার স্বপ্ন বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা । দারিদ্র মুক্ত-ক্ষুধামুক্ত-অসাম্প্রদায়ি ক-গণতান্ত্রিক একটি আধুনিক বাংলাদেশ বিশ্বের মানচিত্রে প্রতিষ্ঠা করা।আর এই আদর্শকে হত্যা করতে বার বার চেষ্ঠা করছে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র ও তাদের দোসর’রা । কখনো বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় আবার কখনো সরকারের প্রধান থাকা অবস্থায় । তার মধ্যে অত্যান্ত সুপরিকল্পিত ভাবে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিল ২০০৪ সালের ২১ শে আগষ্ট । আওয়ামী লীগ’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশস্থলে একের পর এক ছোড়া হয় গ্রেনেড হামলা । রচিত হয় ইতিহাসের বর্বরচিত আরেক কালো অধ্যায়ের । শেখ হাসিনা যে ট্রাকে উঠে বক্তব্য দিচ্ছিলেন সেই ট্রাকে বৃষ্টির মত নিক্ষেপ করেছে গ্রেনেড । শুধু গ্রেনেড হামলা করেই স্বাধীনতা বিরোধীচক্র ও তাদের দোসর’রা ক্ষান্ত হয়নি । শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে একের পর এক বুলেট চালিয়েছিল যা বুলেটপ্রুফ গাড়ী এবং দলীয় নেতাকর্মীরা মানবপ্রাচীর তৈরি করে সেই সময় শেখ হাসিনাকে রক্ষা করলেও বিএনপি-জামায়াত ইসলাম’র বর্বরচিত গ্রেনেড হামলায় নিহত হয় আইভি রহমান সহ ২৪ জন নেতাকর্মী । আহত ও পঙ্গুত্ব জীবন বরণ করতে হয়েছে প্রায় ৩’শ নেতাকর্মীকে ।

দিলওয়ার হোসেন কয়েছ বলেন,একজন ঈমানী ব্যক্তির ঈমানকে ধ্বংস করার জন্য শয়তান যেমন তার সর্বস্ব প্রয়োগ করে, ঠিক স্বাধীনতা বিরোধীচক্র বিএনপি ও জামায়াত ইসলাম তখন তাদের সর্বশক্তি প্রয়োগ করে বঙ্গবন্ধুর লালিত আদর্শ শেখ হাসিনাকে হত্যা করার নোংরা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল । বি এন পি জামাতের ষড়যন্ত্র লীলনকশা মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার অপচেষ্টা কোনদিন বাস্তবায়ন হবেনা। তিনি ২১ শে আগস্ট সহ সকল হামলার বিচার দাবী করেন। এ সময় অন্যানদের মুধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফ্রান্স আওয়ামীলীগ নেতা নজরুল ইসলাম যুবলীগ নেতা আজমল হোসেন, কামাল হোসেন, লাবু চৌধুরী , মিজানুর রহমান,জামিল আহমদ সাহেদ, হাসান সিদ্দিকী , খায়রুল আলম মাজেদ প্রমুখ। সভা শেষে ৭১সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে,৭৫ সাল ঘাতকের বুলেটে , ৯০ এর সৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে, ১৭ই আগস্ট ২১ শে আগস্ট সহ সকল গনতান্ত্রিক আন্দোলনে নিহতদের শহীদদের স্মরনে মোনাজাত অনুষ্টিত হয় ।