প্রেমের কারণেই সিলেট বিসিকে জোড়া খুন : গ্রেপ্তার ৫
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ আগস্ট ২০১৬, ৭:৫৪ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ :
প্রেমের বিবাদের কারণেই সিলেটের বিসিক শিল্পনগরী এলাকার বনফুলের কর্মচারী রাজু ও তাপুকে খুন করা হয়। সোমবার সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতের বিচারক হরিদাস কুমারের আদালতে গ্রেফতার হওয়া ইমনের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তা প্রকাশ পেয়েছে।
এর আগে একইভাবে গ্রেফতার হওয়া অপর আসামি শিপন ও দুলাল মিয়া গত রবিবার একই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেয়।
বর্তমানে গ্রেপ্তারকৃতরা কারাগারে রয়েছে। বাকি দুই আসামি উজ্জ্বল ও নজরুল ৫ দিনের পুলিশ রিমান্ডে রয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- জালালাবাদ থানার সুবিদবাজার বনকলাপাড়ার মো. মানিক মিয়ার পুত্র বর্তমানে কদমতলী খান বাড়ির মানিক মিয়ার ভাড়াটে মো. শিপন আহমেদ (২০), নগরীর গোয়াবাড়ীর ভোলা মিয়ার পুত্র বর্তমানে পশ্চিম কাজলশাহ তমিজ মিয়ার কলোনির বাসিন্দা উজ্জ্বল (২০), হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থানার কসবা গ্রামের মৃত শমসির মিয়ার পুত্র বর্তমানে বাগবাড়ী নরসিংটিলার বাসিন্দা দুলাল মিয়া (২০), নগরীর কাজিরবাজার তোপখানার মাসুক মিয়ার পুত্র বর্তমানে কানিশাইলের বাসিন্দা নজরুল (২০) ও কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার বিজরাবাজারের কামরুল হাসানের পুত্র নগরীর কানিশাইল এলাকার বাসিন্দা ইমন (২০)।
গত দু’দিনে বিভিন্ন স্থানে পুলিশ অভিযান চালিয়ে উল্লেখিত ৫ ঘাতককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় শাহপরাণ থানা পুলিশ।
জবানবন্দিতে গ্রেপ্তারকৃত আসামি শিপন ও দুলাল জানায়, সুমি আসামি শিপনের খালাতো বোন। সুমির সাথে ভিকটিম রাসেলের গভীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পক্ষান্তরে সুমি শিপনের সাথেও সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। সুমি শিপনের চেয়ে রাসেলকে অধিক ভালবাসলে শিপনের সেটা মেনে নিতে কষ্ট হয়।
সে তার বন্ধুদের নিয়ে রাসেলকে হত্যার পরিকল্পনা করে। চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি সন্ধ্যা পৌনে ৭ টার দিকে তারা বিসিক শিল্পনগরীর ফুলকলি কার্টুন ফ্যাক্টরির উত্তর পশ্চিম পাশের রাস্তায় রাসেলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে।
রাসেলকে রক্ষার জন্য রাসেলের বন্ধু রাজু আহমদ ও তাপু মিয়া এলে শিপন আহমেদ, উজ্জ্বল, দুলাল মিয়া, নজরুল, ইমন ও পলাতক শাকিল তাদের হাতে থাকা দা, ছোরা দিয়ে কুপিয়ে রাজু আহমদ ও তাপু মিয়াকে হত্যা করে। ভাগ্যক্রমে রাসেল বেঁচে যায়।
১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ শেষে বিজ্ঞ বিচারক আসামি শিপন ও দুলালকে আদালত জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ এবং আসামি উজ্জ্বল এবং নজরুলের ৫ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আদেশ প্রদান করেন। সোমবার ইমনকে কোর্টে হাজির করা হয় এবং পুলিশের পক্ষে ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদনের প্রেক্ষিতে ইমন আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করে।