ব্রিটেনে লেবারের ১০ দফা পরিকল্পনা ঘোষনাঃ স্বপ্ন দেখাচ্ছে বাংলাদেশীসহ এশিয়ানদের
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ আগস্ট ২০১৬, ৫:৩৮ অপরাহ্ণ
লন্ডন অফিস :
লেবার পার্টি প্রধান জেরেমি কর্বিন ঘোষণা করেছেন ব্রিটেনের জন্য তাঁর দশ দফা পরিকল্পনা। এর আওতায় সূচিত হবে বিপুল অংকের গণ-বিনিয়োগ যার লক্ষ্য হবে নাগরিকগণের মধ্যে সমতা আনয়ন। এর ফলে চরম হতাশায় নিমজ্জিত দেশের মানুষদের দেখাচ্ছে নতুন করে আশার আলো। বাংলাদেশী কমিউনিটি সহ এশিয়ানদের পছন্দের দল লেবারের এমন একটি যুগোপযোগী পরিকল্পনায় কিছুটা হলেও স্বপ্ন দেখাচ্ছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার পর সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দা ও দেশের চলমান অস্থিরতায় পুরোই বেকায়দায় রয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশীরা।
গতকাল পূর্ব লণ্ডনের এক অনুষ্ঠানে কর্বিন বলেন, “ব্রিটেনের পুনর্গঠন ও রূপান্তর ঘটাতে আমি এই দশ দফা ঘোষণা করছি”। তিনি আরও বলেন, “লক্ষ-লক্ষ নাগরিকের জন্য [টোরি সরকারের] অর্থনৈতিক নীতি কাজ করছে না। ব্রেক্সিট ভোট আমাদের দেখিয়েছে যে, আমাদের সমাজের বহু লোক রাজনীতি যেভাবে চলছে তা মেনে নিতে প্রস্তুত নন”। কর্বিনের দশ দফা – যাকে ইতিমধ্যেই অনেকে উচ্চাকাঙ্খী বলে অভিহিত করছেন – কীভাবে ব্রিটেনের রূপান্তর ঘটাবে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, “এটি ভবিষ্যতের জন্য নতুন, পরিচ্ছন্ন শিল্প গড়ে তুলবে এবং সরকারী পরিসেবার উপর আস্থা ফিরিয়ে আনবে”। কোন ব্যক্তি বা সম্প্রদায় বাদ পড়বে না বলেও দাবী করেন তিনি।দশ দফার আওতায় যেসব লক্ষ্য পূরণ করতে চান কর্বিন। এদিকে লেবারের এমন পরিকল্পনা ঘোষনায় বাংলাদেশী কমিউনিটি সহ এশিয়ানরা কিছুটা আশার আলো দেখছেন। লেবার পার্টির প্রধান হওয়ার পর কর্বিন কে নিয়ে অন্ধকারে ছিলেন তার দলের সমর্থকরা। বিশেষ করে এশিয়ানরা। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে না যেতে কর্বিন কেম্পেইন করেছিলেন। সমর্থকরা প্রথমেই তার হার দেখে তাকে যোগ্য মনে করেননি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরনের পদত্যাগের ঘোষনার পর তিনি দেশের সংকটময় অবস্থায় দায়িত্ব নিতে এখনই প্রস্তুত নন বলে দেওয়া বক্তব্য তার দলে অবস্থানই নড়বড়ে করেছিল। অবশেষে দেরীতে হলেও তার যোগপোযোগী এমন পরিকল্পনায় উল্লসিত। সুরমানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের পাঠকদের উদ্দেশ্যে নিম্নে লেবার পার্টি প্রধান জেরেমি কর্বিন’র দশ দফা পরিকল্পনা তুলে ধরা হলোঃ
১/ ৫০০ বিলিয়ন পাউণ্ডের জাতীয় বিনিয়োগ ব্যাংক স্থাপনের মাধ্যমে দশ লাখ নতুন চাকুরী সৃষ্টি
২/ প্রত্যেকের জন্য নিরাপদ গৃহায়ণ; প্রাথমিকভাবে দশ লাখ নতুন গৃহ নির্মাণ
৩/ বিনামূল্যের শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য ন্যাশনাল এডুকেশন সার্ভিস
৪/ন্যাশনাল হেল্থ সার্ভিস (এনএইচএস) বেসরকারীকরণ ঠেকানো ও এর মান উন্নয়ন
৫/কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা
৬/পরিবেশ সংরক্ষণের পদক্ষেপ নেওয়া; পরিবেশ বান্ধব জ্বালানীতে বিনিয়োগ
৭/অর্থনীতিতে ও গণ পরিসেবায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা
৮/শান্তি ও ন্যায়বিচারের লক্ষ্যে বিদেশনীতি নির্ধারণ
৯/নাগরিকদের উপার্জন ও সম্পদের বৈষম্য কর্তন
১০/ লিঙ্গ, বর্ণ ইত্যাদির ভিত্তিতে সমাজে বিরাজমান বৈষম্য নির্মূলের মাধ্যমে সকল মানবের পূর্ণ অধিকার প্রতিষ্ঠা