সিলেটের তামিমসহ ৫ শীর্ষ জঙ্গি ভারতে !
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ জুলাই ২০১৬, ৮:৪৬ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক :
গুলশান হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ কানাডা প্রবাসী সিলেটের বিয়ানীবাজারের তামিম আহমেদ চৌধুরী এখন ভারতে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন (আইএস) এর বাংলাদেশ ও উত্তরপূর্ব ভারতের কথিত প্রধান সমন্বয়ক তামিমের সাথে আরো ৪ চিহ্নিত জঙ্গি ভারতে গা ডাকা দিয়েছে এমন ধারণা সরকারের উচ্চ মহলে।
ভারত সফররত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল নয়াদিল্লিতে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় এক বৈঠকে সন্দেহভাজন ৫ জেএমবি সদস্যের ব্যাপারে আলোচনা করেন। সেই বৈঠকে নাইমকে দেশে ফেরত পাঠানোর এ অনুরোধ জানান বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া নিজস্ব সূত্রের বরাতে এইসব কথা জানিয়েছে। এ সংক্রান্ত দুইটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তারা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুলশান হামলার পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের মতো ভারতীয় রাজ্যগুলোকে সতর্কতায় রয়েছে। সে সতর্কতার মধ্যেই এবার বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে পাঁচ সন্দেহভাজন জঙ্গির তালিকা ভারতকে দেওয়া হয়। কয়েকদিন আগে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) যে ৬৮ জন নিখোঁজের তালিকা প্রকাশ করেছে তার মধ্যে ওই পাঁচজনের নাম রয়েছে। বাংলাদেশের দাবি অনুযায়ী, তারা সবাই জেএমবি’র কর্মী। তারা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে বলে ধারণা করছে বাংলাদেশ। পাঁচ সন্দেহভাজনের মধ্যে তামিম চৌধুরীও রয়েছেন। তাকে গুলশান হামলার হোতা বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। প্রতিবেশী দেশগুলোর স্থানীয় জঙ্গিগোষ্ঠী এবং আইএস-এর সঙ্গে তার সংযোগ রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
বলা হয়, তামিম চৌধুরী আবু ইব্রাহিম আল হানিফ চৌধুরী নামেও পরিচিত। ২০১৬ সালে অনলাইনে প্রকাশিত আইএসের মুখপাত্র দাবিক-এর ১৪তম সংখ্যায় আইএসের এই অঞ্চলের প্রধান হিসেবে সাংগঠনিক ছদ্মনামে তার দীর্ঘ সাক্ষাতকারও প্রকাশ হয়েছিল। কানাডাবাসী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তামিম ২০১৩ সালে বাংলাদেশে ফিরে আসে।
আরেক সন্দেহভাজন জুনুন শিকদার। তার বাড়ি কুমিল্লায়। ২০০৯ সালে সন্ত্রাসবাদবিরোধী আইনের আওতায় জুনুনকে গ্রেফতার করে বাংলাদেশ পুলিশ। ঢাকায় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞানে অধ্যয়নরত অবস্থায় ২০১৩ সালে জুনুন শিকদার আবারও গ্রেফতার হন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে। জুনুন শিকদার জিহাদি সংগঠনটির সদস্য সংগ্রহের কাজ করছিল বলে অভিযোগ করা হয়। পরে জামিন নিয়ে সে মালয়েশিয়ায় চলে গিয়েছিল।
সন্দেহভাজনের আরেকজন নাজিবুল্লাহ আনসারি চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাসিন্দা। আনসারি ম্যারিন ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়াশোনা করতে মালয়েশিয়া গিয়েছিল। গত বছর আইএসে যোগ দিতে ইরাকে যাওয়ার কথা জানিয়ে ভাইকে চিঠি লেখার পর চট্টগ্রাম পুলিশ স্টেশনে একটি নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করা হয়।
এটিএম তাজউদ্দিন নামের আরেক সন্দেহভাজন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং-এ পড়াশোনারত অবস্থায় নিখোঁজ হয়। চলতি মাসের শুরুর দিকে লক্ষ্মীপুর সদর পুলিশ স্টেশনে একটি নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করা হয়।
আর গত এক বছর ধরে নিখোঁজ রয়েছে জাপানের এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ ওজাকি তথা সুজিত দেবনাথ। পরে তার বাবা জনার্দন দেবনাথ নবীনগর একটি নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করেন।