ইউরোপ থেকে বৃটেনে আসা মাইগ্র্যান্টদের ভাগ্যে কি আছে
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ জুলাই ২০১৬, ৫:০৫ অপরাহ্ণ
সুরমা ডেস্কঃ বৃটেনে অবস্থানরত ইউরোপিয় ইউনিয়নভুক্ত বাকী ২৭টি দেশের নাগরিকদের ভাগ্যে কি আছে? ইউরোপিয় ইউনিয়নে বৃটেনের থাকা, না থাকা নিয়ে গত ২৩ জুন অনুষ্ঠিত রেফারেন্ডামে লিভ ক্যাম্পেইন জয়ী হওয়ার পর ইউভুক্ত দেশগুলোর মাইগ্র্যান্ডদের ভাগ্য নিয়ে এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সর্বত্র। ২৪ শে জুন রেফারেন্ডামের ফলাফল প্রকাশ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামরনের পদত্যাগের ঘোষণা, সর্বশেষ গত ১৩ই জুলাই নতুন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের দায়িত্ব গ্রহণ, এই সময়ের ভেতরে আলোচনা কিছুটা স্থীমিত ছিল। তবে নতুন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের কেবিনেটের ব্রেক্সিট সেক্রেটারী ইউরোপ থেকে আসা মাইগ্র্যান্টদের ব্যাপারে একটি স্বচ্ছ ইঙ্গিত দিয়েছেন। ব্রেক্সিট সেক্রেটারী পদটি বৃটিশ সরকারের কেবিনেটে নতুনভাবে তৈরী করা হয়েছে। ইইউ থেকে বের হয়ে আসার বিভিন্ন ইস্যু নিয়েই মূলত ব্রেক্সিট সেক্রেটারী কাজ করবেন। রোববার একটি টেলিভিশনে ব্রেক্সিট সেক্রেটারী ডেভিড ডেভিস জানিয়েছেন, রেফারেন্ডামের কাছাকাছি সময়ে যেসব মাইগ্র্যান্ট ইইউর বিভিন্ন দেশ থেকে বৃটেনে প্রবেশ করেছেন, তারা বৃটেনে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ নাও পেতে পারেন। রেফারেন্ডামের সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে কেউ যদি বৃটেনের প্রবেশ করেছে বলে প্রমাণিত হয়, সে ক্ষেত্রে তাদের স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ একেবারেই নেই বলেও জানান তিনি। তবে এক্ষেত্রে ইইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একটি তারিখ নির্ধারিত করে ডেডলাইন বেধে দেয়া হবে বলে জানান ব্রেক্সিট সেক্রেটারী। বৃটিশ এবং ইইউ আইনের সমন্বয়ে পারস্পরিক স্বার্থ বিবেচনা করে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে না পারলে রেফারেন্ডামের কাছাকাছি সময়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে আসা মাইগ্র্যান্টদের বৃটেনে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ দেয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না বলেও জানিয়েছেন বৃটিশ ব্রেক্সিট সেক্রেটারী ডেভিড ডেভিস।
উল্লেখ্য রেফারেন্ডামে ইইউ মাইগ্র্যান্ট বড় একটি ইস্যু ছিল। রেফারেন্ডামের আগে সাবেক বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামরন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত ২৭টি দেশ থেকে বৃটেনে আসা মাইগ্র্যান্টদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যাপক চেষ্টা করেছেন। তাতে অবশ্য বারবার বাধা দিয়েছে ইউরোপিয়ান কমিশন। ইইউ চুক্তি অনুযায়ী, ইউনিয়নভুক্ত দেশের নাগরিকরা ইউনিয়নভুক্ত যে কোনো দেশে গিয়ে কাজ করার এবং অবাধ চলাফেরা করার সুযোগ পান। ইমিগ্র্যান্টের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের নামে বৃটিশ সরকার ইইউ নাগরিকের সেই স্বাধীনতায় বাধা দিচ্ছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেছিল ইউনিয়ন। তারপরেও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামরন ইইউ মাগ্র্যান্টদের বৃটেনে আসার প্রথম ৪ বছরের ভেতরে কোনো ধরনের বেনিফিন ক্লেইম করতে পারবে না বলে আইন করেছেন। এখন ইউকে স্বাধীন। মাইগ্র্যান্টদের আটকাতে যে কোনো ধরনের আইন করতে পারবে, তাতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন খুব বড় ধরনের বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না। তবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বের হবার পুরো প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর বুঝা যাবে কোন দিকে যাচ্ছে ইইউ মাইগ্র্যান্টদের ভাগ্য?