সিসিকের ডাস্টবিন : নেই পর্যাপ্ত ব্যবহার
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ জুন ২০১৬, ১১:৩৪ পূর্বাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক: পরিচ্ছন্নতা ও আবর্জনা ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে সম্প্রতি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পয়েন্টে বসানো হয়েছে অত্যাধুনিক ডাস্টবিন। সিলেট সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে স্টিলের তৈরি এসব দৃষ্টিনন্দন ডাস্টবিন বসানো হয়। তবে সচেতনতার অভাবে এই ডাস্টবিনগুলো ব্যবহারে তেমন আগ্রহ নেই নগরবাসীর।
চলতি জুন মাসের শুরুতে ডাস্টবিন বসানোর এ উদ্যোগ নগরবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও সাধারণ মানুষের অসচেতনতার কারণে কার্যত অব্যবহৃতই রয়ে যাচ্ছে ডাস্টবিনগুলো।
সিটি কর্পোরেশন সূত্র জানায়, প্রাথমিক অবস্থায় নগর পরিচ্ছন্নতার উদ্যোগ হিসেবে নগরীর বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে ২১টি ছোট ডাস্টবিন বসানো হয়। প্রতিটি ডাস্টবিনের গায়েই নির্দেশনা হিসেবে লেখা রয়েছে “প্যাকেটজাত, বোতলজাত, অপ্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ দুর্গন্ধবিহীন ময়লা এখানে ফেলুন”। নগরীর চৌহাট্টা, জিন্দাবাজার, নয়াসড়ক ও বন্দরবাজারসহ আরো কিছু এলাকায় রাস্তার পাশে এ ডাস্টবিনগুলো বসানো হয়।
সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব বলেন, “প্রাথমিকভাবে আমরা নগরীতে ২১টি ডাস্টবিন বসিয়েছি, এবং আগামীতে পুরো নগরীতে ডাস্টবিন বসানোর মাধ্যমে নগরীকে পরিচ্ছন্ন রাখার একটি বড় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে”।
এ উদ্যোগ বাস্তবায়নের সময় সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) নূর আজিজুর রহমান জানিয়েছিলেন, নগরীকে পরিচ্ছন্ন রাখতে, দুর্গন্ধবিহীন ও অপচনশীল ময়লা যা সাধারণত পথচারিরা পথ চলতে রাস্তাতেই ফেলে, সেসব ময়লা ফেলার জায়গা করে দিতেই এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সিসিক।
সিসিক কর্তপক্ষ ডাস্টবিন নিয়ে মন আশা কথা শোনালেও সচেতনার অভাবে এখন পর্যন্ত অব্যবহৃতই থেকে গেছে এগুলো। প্রতিদিন হাজারো পথচারি এসব ডাস্টবিনগুলোর পাশ দিয়ে হেঁটে গেলেও ময়লা ফেলা জন্য এখনো পর্যাপ্ত সচেতনতার সৃষ্টি না হওয়ায় ডাস্টবিনের পরিবর্তে নগরীর রাস্তাঘাট এখনো ময়লা ফেলার স্থান হিসেবে রয়ে গেছে।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেট এর সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এ ধরণের ডাস্টবিন বসানো সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষের খুব ভাল একটি উদ্যোগ, কিন্তু নগরবাসীর আরো বেশি সচেতন হওয়ার প্রয়োজন। কাউন্সিলরদের সাথে নিয়ে নগরবাসীদের সচেতন করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে সিটি কর্পোরেশন”।
সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব বলেন, “সাধারণ মানুষরা এখনো ডাস্টবিন ব্যবহার করছেন না, এর জন্য সচেতনতার প্রয়োজন। আমরা সবকটি ডাস্টবিনের গায়ে সতর্কতামূলক কিছু নির্দেশনা দিয়েছি। নগরীর সবকটি এলাকায় ডাস্টবিন বসানোর পরে আমরা বড় পরিসরে একটি পরিচ্ছন্নতামূলক সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করবো”।