যন্ত্রণার আরেক নাম সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:৩৩:৩৩,অপরাহ্ন ২৫ জুন ২০১৬
গোয়াইনঘাট সংবাদদাতাঃ এটি নামে আঞ্চলিক মহাসড়ক। অথচ সিলেট সিলেট-তামাবিল সড়কটি দেখলে মনে হবে গ্রামীণ কাদামাখা পথ। সড়কজুড়ে খানাখন্দ, কাদা-পানি, কে বলবে এটি আঞ্চলিক মহাসড়ক। এমনই বেহাল রুপ নিয়েছে সিলেট-তামাবিল সড়কটি। দীর্ঘদিনের সংস্কারহনতার কারণে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে এই আঞ্চলিক মহাসড়ক।চলতি বর্ষা মৌসুমে টানা বৃষ্টির কারণে সড়কের বিভিন্ন স্থানে পানি জমে অনেকটা মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।
তাবাবিল শুল্ক স্টেশন, জাফলং পর্যটন স্পট ্ও জাফলং পাথর কোয়ারির কারণে সিলেটের অন্যতম ব্যস্ততম সড়ক সিলেট-তামাবিল সড়ক। প্রতিদিন পাথর-কয়লাবাহী ট্রাকসহ অসংখ্য যানবাহান এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে। তবে দীর্ঘদিন ধরে ভাংচুরা অবস্থায় থাকলেও সড়কটি সংস্কারে তেমন কোনো উদ্যোগ নেই। সড়কের গোয়াইনঘাট অঞ্চলের নলজুরি থেকে জাফলং পর্যন্ত এলাকার অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। সড়কের সিংহভাগ জুড়েই রয়েছে খানাখন্দে ভরা। এ কারণে প্রতিদিনই ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের। একটু বৃষ্টি হলে সড়কের খানখন্দে জমে হাটু জল। বর্ষা মৌসুমে সড়কটি কাদা জলে মিশে এমন অবস্থায় সৃষ্টি হয়েছে যে যানবাহন নয়, জনসাধারণের চলাচলেও দায় হয়ে পড়েছে।
গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে সিলেট-তামাবিল মহা সড়কটিকে চার লেনে উন্নতি করার ঘোষনা দেয়া হয়। কিন্তু চার লেন দূরে থাক, এখন পর্যন্ত এই সড়কটি সংস্কারেরই কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
সম্প্রতি স্থানীয় সংসদ সদস্য এমপি ইমরান আহমদ জাফলংয়ে এসে সড়কের এই বেহাল দশা দেখে যান। এসময় তাঁর গাড়িও আটকা পড়ে পানিতে তলিয়ে যাওয়া সড়কের গর্তে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী এ.এইচ.এম. কামরুজ্জামান বলেন, ইতিমধ্যে রাস্তার কাজগুলো চলমান রয়েছে। বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে সালুটিকর-গোয়াইনঘাট ও রাধারনগর-গোয়াইন দ্রুত গতিতে কাজ চলছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রাস্তা সংস্কার কাজ শেষ করতে পারবো বলে আমরা আশাবাদি।