ভারতের নিষিদ্ধ ৭ চলচ্চিত্র
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ জুন ২০১৬, ৫:২৯ অপরাহ্ণ
বিনোদন ডেস্ক: সিনেমার মাধ্যমে সমাজের নানা অসঙ্গতি পর্দায় তুলে ধরা হয়। প্রত্যেকটি সিনেমাতেই কোনো না কোনো বিশেষ একটি বিষয় থেকেই যায়। নির্মাতা এসব বিষয় নানাভাবে পর্দায় তুলে আনার চেষ্টা করেন।
কিন্তু বাস্তবমুখী বিষয় নিয়ে নির্মিত এসব সিনেমা নানা কারণে সেন্সর বোর্ড আটকে দেয়। সম্প্রতি বলিউডের ‘উড়তা পাঞ্জাব’ সিনেমা নিয়ে সেন্সরবোর্ড এবং নির্মাতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। সিনেমার বেশকিছু দৃশ্য এবং সংলাপ নিয়ে আপত্তি তোলে সেন্সর বোর্ড। শেষ পর্যন্ত আদালতের হস্তক্ষেপ এবং ‘এ’ সার্টিফিকেট নিয়ে মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি।
কিন্তু ভারতের এমন কিছু চলচ্চিত্র রয়েছে, যা দীর্ঘ দিন ধরেই সেন্সর বোর্ডের বেড়াজালে আটকে আছে। এরকম নিষিদ্ধ ৭ চলচ্চিত্র নিয়ে সাজানো হয়েছে এই প্রতিবেদন।
মোল্লাআসি : বারাণসী শহরে কীভাবে বিদেশি পর্যটকদের ঠকানো হয় তা নিয়ে নির্মিত হয় এই সিনেমা। এর একাধিক দৃশ্যে অত্যন্ত ‘স্ল্যাং’ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। সিনেমাটি মুক্তির আগে প্রোমো ‘লিক’ হয়ে যায়। যার জন্য এফআইআর দায়ের করা হয়। গত বছর এপ্রিলে এই সিনেমার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এ সিনেমার মূল চরিত্রে অভিনয় করেন সানি দেওল ও সাক্ষী তানোয়ার।
আন-ফ্রিডম : সমকামীদের কাহিনি নিয়ে নির্মিত হয়েছিল এই সিনেমা। মেয়ে ‘লেসবিয়ান’ জেনে বাবা থানার দারাগোকে দিয়েই মেয়েকে ধর্ষণ করান। জ্বলন্ত এই সামাজিক সমস্যা নিয়ে এই সিনেমা নির্মাণ করেন রাজ অমিত কুমার। এতে অভিনয় করেছিলেন, ভিক্টর ব্যানার্জি, আদিল হুসেন এবং প্রীতি গুপ্তা।
গান্ডু : ২০১০ সাল থেকে এই সিনেমাটি মুক্তির অপেক্ষায় দিন গুণছে। নারীবাদীদের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে এই সিনেমা। এর সংলাপ, দৃশ্যাধারণ এতটাই সাহসী যে, শুটিংয়ের শুরু থেকে বিতর্কের মুখে পড়েছিল।
দ্য পিঙ্ক মিরর : সত্তরের অধিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে এই চলচ্চিত্রটি। কিন্তু বাণিজ্যিকভাবে মুক্তিতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ‘জেন্ডার ইস্যু’ ও ‘ট্র্যান্সসেক্সুয়ালিটি’ নিয়ে নির্মিত হয়েছে এই সিনেমা।
দ্য পেইন্টেড হাউস : মালায়াম এই সিনেমার মূল চরিত্রে অভিনেত্রীর বেশকিছু নগ্ন দৃশ্য রয়েছে যার কারণে সিনেমাটি মুক্তিতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
হাওয়া আনে দে : পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধের প্রেক্ষাপট নিয়ে পরিচালক পার্থ সেনগুপ্ত নির্মাণ করেন ‘হাওয়া আনে দে’ শিরোনামের চলচ্চিত্র। সিনেমাটিতে ২১ দৃশ্য বাদ দিতে বলেছিল সেন্সর বোর্ড। কিন্তু পরিচালক তা নাকচ করে দেন।
ছত্রাক : পাওলি দাম অভিনীত এই সিনেমা নিয়ে রীতিমতো বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। সিনেমাটিতে যেভাবে যৌন দৃশ্য উপস্থাপন করা হয়েছে তা নিয়ে আপত্তি জানায় সেন্সর বোর্ড। সিনেমাটি মুক্তি না পেলেও পাওলি দামের নগ্ন দৃশ্য ইন্টারনেটে ‘লিক’ হয়ে যায়।