‘লেখা-পড়া না করলে শুধু তোমরা নয় তোমাদের জেলা-উপজেলাও পিছিয়ে পড়বে’ –ওসমানীনগরে ডিসি সারওয়ার
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৫০ পূর্বাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিলেটের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম বলেছেন, পরিশ্রম করতে না পারলে তুমি যতই মেধাবী হও না কেন, সফলতা অর্জন করা সম্ভব নয়। তোমরাই আগামী দিনের বাংলাদেশ। তোমরা যদি মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া না করো, তাহলে শুধু তোমরাই নয়, তোমাদের জেলা ও উপজেলা পিছিয়ে পড়বে।
তিনি বলেন, শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে, সময়মতো খাওয়া-দাওয়া করতে হবে, নিয়মিত স্কুল-কলেজে যেতে হবে এবং প্রতিদিন খেলাধুলা করতে হবে। কোনোভাবেই অসুস্থ হওয়া যাবে না। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের রাত জেগে ফেসবুক-ইউটিউব ব্যবহার না করার পরামর্শ দেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজার সরকারি মহিলা ডিগ্রি কলেজে নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জেলা প্রশাসক।
সারওয়ার আলম বলেন, আমি চাই আমাদের সন্তানরা ভালো কলেজে পড়ুক, ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হোক এবং নিজেদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলুক। শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শিক্ষকতাকে পেশা নয়, বরং নেশা ও ইবাদত হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। আমাদের সন্তানরা যেন মানুষের মতো মানুষ হয়ে গড়ে ওঠে, সে দায়িত্ব আপনাদের। অভিভাবকরা সন্তানদের আপনাদের কাছে আমানত হিসেবে দিয়েছেন, এই আমানতের খেয়ানত করবেন না, বরং তাদের যোগ্য মানুষ হিসেবে গড়ে তুলুন।
তিনি আরও বলেন, আপনারা চাইলে যেকোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অনেক দূর এগিয়ে নিতে পারবেন। শুধু জানাবেন, কী ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন আমরা তা দিতে প্রস্তুত।
দুপুরে নবীনবরণ শেষে জেলা প্রশাসক সারওয়ার আলম দিনব্যাপী উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনসূচি অনুযায়ী, দুপুর ২টায় তিনি ওসমানীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেন। এসময় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জনবল সংকট ও উপকরণ সংকটের কারণে চিকিৎসা সেবা ব্যাহতের কথা তুলে ধরা হলে তা অচিরেই সমাধান করার আশ্বাস দেন। এসময় তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মইনুল আহসানকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চারপাশ ভালো করে পরিষ্কারসহ বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে মডেল হিসাবে গড়ে তুলার আহবান করেন। প্রায় ২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৫০ শয্যাবিশিষ্ট সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণের দেড় বছর পার হলেও এখনও মেলেনি সরকারি অনুমোদন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে ডিসি বলেন, যত দ্রুত সম্ভব সরকারি অনুমোদন পেতে চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। এরপর তিনি উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে কৃষকদের মাঝে সার ও বীজ বিতরণ কালে কৃষকদের উদ্দ্যেশ্যে বলেন, আপনারা আছেন বলেই আমরা ভালো কিছু খেতে পারি। আপনাদের যেকোন সহযোগিতায় আমাদের পাশে পাবেন। আপনারা বীজ রোপন করে পরিচর্যা করেন, আমি আবারো আপনাদের দেখতে আসবো।








