‘মাদকবাহী সাবমেরিনে’ মার্কিন হা ম লা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ১০:১২ পূর্বাহ্ণ
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী ক্যারিবিয়ান সাগরে একটি ‘মাদক পাচারকারী সাবমেরিনে’ হামলা চালিয়েছে। এতে দু’জন নিহত হয়েছেন। আটক করা হয়েছে দু’জনকে। তারা ইকুয়েডর ও কলম্বিয়ার নাগরিক। তাদেরকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প শনিবার এ ঘোষণা দিয়েছেন। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে লিখেছেন, আমার জন্য এটি ছিল এক মহান সম্মানের কাজ। তাহলো যুক্তরাষ্ট্রের দিকে আসা একটি বিশাল মাদকবাহী সাবমেরিন ধ্বংস করা। এটি ছিল একটি পরিচিত মাদক পাচার রুটে চলমান এবং সাবমেরিনটি ফেন্টানিলসহ বিপুল পরিমাণ মাদক বহন করছিল। তিনি আরও বলেন, দু’জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। বেঁচে থাকা দু’জনকে ইকুয়েডর ও কলম্বিয়ায় পাঠানো হচ্ছে। সেখানে তাদেরকে আটক করে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। জবাবে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো নিশ্চিত করেছেন যে, কলম্বিয়ান সন্দেহভাজনকে ইতিমধ্যে ফেরত নেয়া হয়েছে। তিনি সামাজিক মাধ্যম এক্সে লিখেছেন, আমরা আনন্দিত যে তিনি জীবিত আছেন এবং আইন অনুযায়ী তার বিচার হবে।
ট্রাম্প শুক্রবার এই হামলার ঘোষণা দেন। এটি ছিল সেপ্টেম্বরের পর থেকে চালানো যুক্তরাষ্ট্রের ধারাবাহিক সামরিক অভিযানের সর্বশেষটি। তিনি দাবি করেন, এই অভিযান লাতিন আমেরিকা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে মাদক প্রবাহ রুদ্ধ করার জন্য। কয়েক সপ্তাহে ক্যারিবিয়ান সাগরে কমপক্ষে ছয়টি নৌযান- যার বেশিরভাগই দ্রুতগামী স্পিডবোট, মার্কিন হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছে। ওয়াশিংটন দাবি করছে, এসবের কিছু নৌযান ভেনেজুয়েলা থেকে যাত্রা করে। মার্কিন প্রশাসনের বক্তব্য অনুযায়ী, এসব হামলায় মাদক পাচারকারীদের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্তমূলক আঘাত হানা হচ্ছে। তবে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র কোনও প্রমাণ উপস্থাপন করেনি যে, নিহত কমপক্ষে ২৭ জনই প্রকৃত মাদক ব্যবসায়ী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের ‘বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড’ আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ।
এমনকি যদি লক্ষ্যবস্তু সত্যিকারের মাদক পাচারকারীও হয়। ওয়াশিংটন জানায়নি ওই সাবমেরিনটি কোথা থেকে যাত্রা করেছিল। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, দক্ষিণ আমেরিকার জঙ্গলাঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে গোপনে নির্মিত ‘আংশিক ডুবো জাহাজ’ বা সেমি-সাবমারসিবল নৌযানগুলো মূলত কলম্বিয়া থেকে মাদক পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হয়। এসব নৌযানে সাধারণত বিপুল পরিমাণ কোকেন দক্ষিণ আমেরিকা থেকে মধ্য আমেরিকা বা মেক্সিকো পর্যন্ত বেশির ভাগ সময় প্রশান্ত মহাসাগর পেরিয়ে পাচার করা হয়।
‘মাদকবাহী সাবমেরিনে’ মার্কিন হামলা
নিউজ ডেস্কঃ
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী ক্যারিবিয়ান সাগরে একটি ‘মাদক পাচারকারী সাবমেরিনে’ হামলা চালিয়েছে। এতে দু’জন নিহত হয়েছেন। আটক করা হয়েছে দু’জনকে। তারা ইকুয়েডর ও কলম্বিয়ার নাগরিক। তাদেরকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প শনিবার এ ঘোষণা দিয়েছেন। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে লিখেছেন, আমার জন্য এটি ছিল এক মহান সম্মানের কাজ। তাহলো যুক্তরাষ্ট্রের দিকে আসা একটি বিশাল মাদকবাহী সাবমেরিন ধ্বংস করা। এটি ছিল একটি পরিচিত মাদক পাচার রুটে চলমান এবং সাবমেরিনটি ফেন্টানিলসহ বিপুল পরিমাণ মাদক বহন করছিল। তিনি আরও বলেন, দু’জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। বেঁচে থাকা দু’জনকে ইকুয়েডর ও কলম্বিয়ায় পাঠানো হচ্ছে। সেখানে তাদেরকে আটক করে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। জবাবে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো নিশ্চিত করেছেন যে, কলম্বিয়ান সন্দেহভাজনকে ইতিমধ্যে ফেরত নেয়া হয়েছে। তিনি সামাজিক মাধ্যম এক্সে লিখেছেন, আমরা আনন্দিত যে তিনি জীবিত আছেন এবং আইন অনুযায়ী তার বিচার হবে।
ট্রাম্প শুক্রবার এই হামলার ঘোষণা দেন। এটি ছিল সেপ্টেম্বরের পর থেকে চালানো যুক্তরাষ্ট্রের ধারাবাহিক সামরিক অভিযানের সর্বশেষটি। তিনি দাবি করেন, এই অভিযান লাতিন আমেরিকা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে মাদক প্রবাহ রুদ্ধ করার জন্য। কয়েক সপ্তাহে ক্যারিবিয়ান সাগরে কমপক্ষে ছয়টি নৌযান- যার বেশিরভাগই দ্রুতগামী স্পিডবোট, মার্কিন হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছে। ওয়াশিংটন দাবি করছে, এসবের কিছু নৌযান ভেনেজুয়েলা থেকে যাত্রা করে। মার্কিন প্রশাসনের বক্তব্য অনুযায়ী, এসব হামলায় মাদক পাচারকারীদের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্তমূলক আঘাত হানা হচ্ছে। তবে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র কোনও প্রমাণ উপস্থাপন করেনি যে, নিহত কমপক্ষে ২৭ জনই প্রকৃত মাদক ব্যবসায়ী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের ‘বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড’ আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ।
এমনকি যদি লক্ষ্যবস্তু সত্যিকারের মাদক পাচারকারীও হয়। ওয়াশিংটন জানায়নি ওই সাবমেরিনটি কোথা থেকে যাত্রা করেছিল। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, দক্ষিণ আমেরিকার জঙ্গলাঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে গোপনে নির্মিত ‘আংশিক ডুবো জাহাজ’ বা সেমি-সাবমারসিবল নৌযানগুলো মূলত কলম্বিয়া থেকে মাদক পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হয়। এসব নৌযানে সাধারণত বিপুল পরিমাণ কোকেন দক্ষিণ আমেরিকা থেকে মধ্য আমেরিকা বা মেক্সিকো পর্যন্ত বেশির ভাগ সময় প্রশান্ত মহাসাগর পেরিয়ে পাচার করা হয়।







