সুনামগঞ্জে এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণের পর ধর্ষণ, পুলিশ কনস্টেবল গ্রেফতার
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ জুলাই ২০২৫, ৫:১৫ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশের এক কনস্টেবলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার নাম আইনুল হক। মঙ্গলবার ভোরে পুলিশের সিলেট রেঞ্জের সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের ধর্মপাশা থানা ভবন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আইনুল ধর্মপাশা থানায় কর্মরত ছিলেন। তিনি সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের ইসলামপুর দুভাগ গ্রামের নুর উদ্দিনের ছেলে ও বিবাহিত।
মঙ্গলবার দুপুরে ধর্মপাশা সার্কেল অফিসার (সহকারী পুলিশ সুপার) আলী ফরিদ আহমেদ ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এনামুল হক আইনুলকে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতারের তথ্য নিশ্চিত করেন।
ধর্মপাশা থানায় দায়ের করা মামলা ও ভিকটিম এইচএসসি পরীক্ষার্থীর (কলেজছাত্রী) পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ধর্মপাশা থানায় কনস্টেবল পদে কর্মরত থাকার সুবাদে আইনুল সনাতন ধর্মালম্বী (হিন্দু) ওই কলেজছাত্রীর সঙ্গে বছরখানেক আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কথাবার্তা, ছবি, ভিডিও ফুটেজ বিনিময় হয়।
গত ২৬ জুন এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। এদিন বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা শেষে বেড়ানোর কথা বলে মুঠোফোনে ওই কলেজছাত্রীকে ধর্মপাশার মহদীপুর স্পিডবোট ঘাটে আসতে বলেন আইনুল। এরপর স্পিডবোটে বিকালে বেড়ানোর কথা বলে কৌশলে জেলা শহর সুনামগঞ্জ নিয়ে যান কলেজছাত্রীকে। রাত ৮টায় দুজনেই শহরের একটি আবাসিক হোটেলে উঠেন।
এরপর আইনুল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে রাতভর ধর্ষণ করেন। পরদিন সকালেও ধর্ষণ করেন। এরপর কলেজছাত্রীকে নিয়ে ধর্মপাশায় ফেরেন। প্রেম পরবর্তী সময়ে কৌশলে অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনাটি পরিবারের লোকজন ও ধর্মপাশা থানা পুলিশকে অবহিত করেন ওই কলেজছাত্রী। একপর্যায়ে বিয়ের দাবিতে সোমবার সকাল থেকে ধর্মপাশা থানা ভবনে অবস্থান নেন তিনি। আইনুল বিয়েতে অস্বীকৃতি জানালে কলেজছাত্রী সোমবার রাতে থানায় আইনুলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন।
রাতেই অভিযোগটি অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা হিসাবে রুজুর পর মঙ্গলবার ভোররাতে থানা ভবন থেকেই কনস্টেবল আইনুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।