সুনামগঞ্জে মসজিদে চুরি করে স্বীকার করলেন যুবলীগ নেতা, অতঃপর…
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ জুন ২০২৫, ৩:০৮ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্কঃ
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে চুরির ঘটনায় ইছা মিয়া (৩৫) নামে এক যুবলীগ নেতাকে হাত-পা বেঁধে মারধরের পর মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বলছে, চুরির বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। তাছাড়া কাউকে চোর সন্দেহে ধরে এনে শাস্তি দেওয়া বেআইনি।
এ ঘটনায় বেশ কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে এলাকায় আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
অভিযুক্ত ইছা মিয়া উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের সাধেরখলা গ্রামের সায়েদ আলীর ছেলে ও ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাধেরখলা হাজি এমএ জাহের উচ্চবিদ্যালয় সংলগ্ন রহিম মিয়ার দোকানে গত শনিবার (৩১ মে) রাতে একটি চুরির ঘটনা ঘটে। পরের দিন রোববার সকালে অনেক খোঁজাখুঁজির পর চোর সন্দেহে ইছা মিয়াকে ধরে আনে গ্রামবাসী। এ সময় তাকে রহিমের দোকান ঘরের খুঁটিতে বেঁধে মারধর করলে সে চুরি করেছে বলে স্বীকারোক্তি দেয়। এরপর তার কাছ থেকে চুরি হওয়া কিছু মালামাল উদ্ধার করেছে বলেও জানা গেছে।
এছাড়াও সে ওই এলাকায় আরও একাধিক বাড়িতে ও মসজিদে চুরি করেছে বলেও স্বীকারোক্তি দিয়েছে। পরে গ্রামবাসী তার স্বজনদের খবর দিলে তারা কোনো সাড়া দেননি। একপর্যায়ে গ্রামবাসী সংশ্লিষ্ট গ্রামের ইউপি সদস্য রোপন মিয়াসহ স্থানীয়রা কাগজে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়।
এ বিষয়ে দক্ষিণ বড়দল ইউপি সদস্য রোপন মিয়া বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ইছা মিয়া এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে চুরি করে এমন অভিযোগ পেয়েছি। গ্রামের রহিম মিয়ার বাড়িতে চুরির ঘটনায় স্থানীয়রা ইছা মিয়াকে ধরে এনে বেঁধে রাখে। পরে সে স্বীকার করে এবং কিছু মালামাল বের করে দেয়। আমরা যাওয়ার পরে কাগজে তার মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেয়।’
এদিকে চুরি ঘটনায় পার্শ্ববর্তী আমতইল গ্রামের নুর আলম ফেসবুকে লেখেন, ‘ইছা মিয়া ভয়ংকর একজন চোর। সে এমন কোনো মসজিদ নেই চুরি করেনি। সে আমার বাড়িতেও চুরি করেছে। সে আমার বাড়ি থেকে টাকা ও অলংকার চুরি করেছে। তার ভয়ে সীমান্ত এলাকা লাকমা থেকে শুরু করে আমাদের ৮/১০ গ্রামের মানুষ রাতে ঘুমাতে পারে না।’
তাহিরপুর থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন বলেন, চুরির বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ করেনি। তাছাড়া কাউকে চোর সন্দেহে ধরে এনে শাস্তি দেওয়া বেআইনি। বিষয়টি কেউ থানায় অবগত করেনি। অভিযোগ এলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।