গোয়ালাবাজারে চুর-পুলিশ খেলা : সকালে উচ্ছেদ, বিকেলে দখল
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ মে ২০২৫, ৭:৫৪ অপরাহ্ণ
জুবেল আহমদ,স্টাফ রিপোর্টার:
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের ওসমানীনগর অংশে নিষিদ্ধ টমটম, ফিটনেসবিহীন গাড়ি, রং পার্কিং ও ফুটপাত উচ্ছেদে সকালে অভিযান চালায় হাইওয়ে পুলিশ । অভিযানের ৬ ঘন্টা পর বিকেলেই আবার দখল হয়ে যায় মহাসড়ক ।
জানা যায়, গত রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলার বানিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র গোয়ালাবাজারে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন হাইওয়ে পুলিশ সিলেট অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম। সাথে ছিলেন ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জয়নাল আবেদীন। অভিযানে হাইওয়ে পুলিশ, ওসমানীনগর থানা পুলিশ, ট্রাফিক বিভাগ, সড়ক বিভাগ ও বাজার কমিটির সদস্যরা অংশ নেন। এসময় ৮টি ব্যাটারিচালিত টমটম আটক, ১টি বাসের রং পার্কিং এবং ৪টি অটোরিকশার বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন দেওয়া হয়। পাশাপাশি ফুটপাত দখলে থাকা অবৈধ দোকানপাট সরিয়ে নেওয়া হয়। অভিযান শেষ হতে না হতেই বিকেলে আবারও দোকানপাট বসে যায়।
স্থানীয় পথযাত্রাী কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা বলেন, মহাসড়কে যানজটের কারণে আমাদের অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়। ফুটপাত উচ্ছেদের নামে প্রশাসনের এটি আইওয়াশ মাত্র। ক’দিন পর পর এ যেন তারা চুর পুলিশ খেলে। ব্যবসায়ীদের জন্য স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়েই ফুটপাতে বসে। স্থায়ী কাজের সুযোগ বা স্থায়ীভাবে কোথাও ব্যবসা করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধও জানান তারা।
ব্যবসায়ী দিলোয়ার হোসেন বলেন, উচ্ছেদ করার পর যদি হাইওয়ে পুলিশের তৎপরতা, তদারকি কিংবা নজরদারি না থাকে, তবে তো দখল হওয়াটাই স্বাভাবিক। এই সমস্যা নিরসনে বাজারের দু’মাথায় ট্রাফিক পুলিশ থাকা জরুরি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, সকালে হাইওয়ে পুলিশের সাথে গিয়েছিলাম সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক উচ্ছেদ অভিযানে। এখন যদি তারা আবার চলে আসে আমরা আাবার অভিযান করব। ঈদের আগে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অভিযানের বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশের সিলেট অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম বলেন, কিছু নিয়ম বহির্ভূত গাড়ি বিশেষ করে থ্রি হুইলার যাদের কোনো বৈধ কাগজ পত্র, লাইসেন্স ও মহাসড়কে চলার তারার কোনো অথরিটি নেই এরাই বাজারটি দখল করে রাখে। বাজারে যানযট তৈরি হয়ে বিভিন্ন সময় দূর্ঘটনা ঘটে। আমরা গত ৭ দিন আগে এই গোয়ালাবাজারে এসে সবার সাথে বসে বলে গিয়েছি যে আপনারা বসে এই বাজারকে কিভাবে নিরাপদ রাখা যায় সেটি করেন। তারা করেননি এজন্য আমরা স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ সাথে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেছি। আমরা যত অবৈধ গাড়ি পেয়েছে সব জব্দ করেছি। পরবর্তীতে আমরা আইনের ব্যবস্থা গ্রহণ করব।