জুবাইদার ৩ বছরের সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায় বুধবার
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ মে ২০২৫, ৬:৪৬ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজঃঃ
সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের তিন বছরের সাজার বিরুদ্ধে করা আপিলের ওপর শুনানি শেষ করা হয়েছে। এ বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য আগামী বুধবার (২৮ মে) দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে সোমবার (২৬ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক বেঞ্চ দিন ঠিক করে আদেশ দেন। আদালতে আজ আপিলের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট এসএম শাহজাহান, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও অ্যাডভোকেট মো. জাকির হোসেন ভূঁইয়া। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান সূজা, ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ, অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান রায়হান বিশ্বাস।
অন্যদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আব্দুল করিম। সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান, জুবাইদা রহমান ও তার মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক।এ মামলার বিচার শেষে ২০২৩ সালের ২ আগস্ট জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তারেক রহমানকে দুই ধারায় মোট নয় বছর এবং তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের তৎকালীন বিচারক মো. আছাদুজ্জামান। রায়ে দুদক আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ধারায় তারেক রহমানকে তিন বছর এবং ২৭(১) ধারায় ছয় বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাকে তিন কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।
জুবাইদা রহমানকে ২৭(১) ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড ও ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পরে এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের নির্বাহী আদেশে তার সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়। ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর স্বামী তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডনের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন ডা. জুবাইদা রহমান। ১৭ বছর পর চলতি বছরের ৬ মে শাশুড়ি খালেদা জিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশে ফিরে আসেন তিনি। গত ১৪ মে ডা. জুবাইদা রহমানের তিন বছরের কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছিলেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে জরিমানা স্থগিত করে ওইদিন আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাকে জামিন দেওয়া হয়।
আদালতে ওইদিন আবেদনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী এস এম শাহজাহান, মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও আইনজীবী জাকির হোসেন ভুঁইয়া। গত ১৩ মে আপিল দায়েরের ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মার্জনা করেন হাইকোর্ট। বিলম্ব মার্জনার পর ডা. জুবাইদা রহমান সাজার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন।