সিলেটে ‘পুত্রবধূর বিরুদ্ধে শাশুড়ির নানা অভিযোগ’
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ মে ২০২৫, ১২:৪২ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজঃ
পুত্রবধূ ও নিজের ছেলেদের জুলুম-অত্যাচারে অতিষ্ঠ একজন মা। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর থেকে ৩টি শিশু ছেলেকে জীবনের সঙ্গে সংগ্রাম করে লেখাপড়া শিখিয়ে এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে দিয়েও আজ বড় অসহায় জীবনযাপন করছেন নগরীর শাহজালাল উপশহরের বাসিন্দা মার্জিয়া বেগম রুমা। তার মূল কারণ হচ্ছে বড় ছেলে তাহমিদ আহমদের স্ত্রীর পরকীয়া উগ্রতা আর বেপরোয়া আচরণ। রোববার দুপুরে সিলেট জেলা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কান্নাভারাক্রান্ত কণ্ঠে এভাবেই কথাগুলো উচ্চারণ করলেন নির্যাতিত মার্জিয়া বেগম রুমা।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০২৫ সালের ৭ই ফেব্রুয়ারি পারিবারিকভাবে সুনামগঞ্জ জেলার ইসলামগঞ্জ বেড়াজালি গ্রামের মৃত সুলতান মিয়ার মেয়ে সুরমা আক্তারের সঙ্গে তার প্রথম পুত্র তাহমিদ আহমদ চৌধুরীর বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই তার পুত্রবধূর আসল চেহারা প্রকাশ পায়। বহুপুরুষে আসক্ত সুরমা আক্তার বিয়ের পর আমার ঘরে আসার কয়েকদিন পর থেকেই আমার ছেলে তাহমিদ আহমদের সঙ্গে শুরু হয় ঝগড়া বিবাদ। সুরমা আক্তার আমার সহজ সরল ছেলে তাহমিদ আহমদকে ভালোভাবে গ্রহণ করেনি। সবসময়ই তার সঙ্গে কারণে অকারণে ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হতো। তাহমিদ আহমদ তার স্ত্রীর এই নিষ্ঠুর আচরণের অনেক অডিও রেকর্ডও মাকে প্রদান করে। শুধু তাই নয় সুরমা আক্তার আমার দ্বিতীয় ছেলে ওয়াহিদ আহমদের সঙ্গেও নানা প্রলোভন দেখিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলে। সুরমা আক্তার দিনের বেশির ভাগ সময়ই মোবাইল ফোনে ভিডিও কলে পর পুরুষের সঙ্গে কথা বলায় ব্যস্ত থাকতো। সুরমা আক্তারে ফাঁদে পড়ে আমার ছেলেরা এখন আমার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে এবং নির্লজ্জভাবে আমার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। যা কোনো সভ্য সমাজে মেনে নেয়া যায় না। তার অপকর্মের প্রতিবাদ করলে ঝগড়ায় লিপ্ত হতো। বাসার কোনো কাজেই হাত দিতো না। মার্জিয়া সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রশাসনসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সহযোগিতা কামনা করে বলেন, বুকে আগলে রেখে সন্তানদের বড় করে আজ পুত্রবধূর কারণে তিনি চরম নিরাপত্তাহীন ও অপমানিত হচ্ছেন। এ ব্যাপারে তিনি সকল মহলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।